সূত্রের খবর, সোমবার সন্ধ্যেয় বৈঠক কিছুক্ষ চলার পরই রদবদল প্রসঙ্গ ওঠে। শোনা যাচ্ছে, সুদীপ চেয়ে ছিলেন তাঁর ঘনিষ্ঠ আশিস সাহা মন্ত্রী হোক। মনোবাঞ্ছা পূর্ণ হবে না বুঝতে পেরেই সুদীপ রায় বর্মন বৈঠক ছেড়ে বেরিয়ে যান। অবশ্য আশিস সাহারা শেষ পর্যন্ত ছিলেন।
আরও পড়ুন-বিদ্রোহের ইঙ্গিত সুদীপের, ত্রিপুরায় মন্ত্রিসভার রদবদলের আগে চিন্তা বাড়ল বিজেপি-র
advertisement
প্রসঙ্গত ঠিক দু'দিন আগেই ঘনিষ্ঠ বিধায়কদের নিয়ে কর্মী সম্মেলনের ধাঁচে একটি অনুষ্ঠান করেন সুদীপ রায় বর্মন। রাজনৈতিক মহলের মতে, সুদীপ দলকে একটি বার্তা দিতে চেয়েছিলেন। দেখাতে চেয়েছিলেন তাঁর শক্তির দৌড়।
ওই সভা থেকেই সুদীপ রায় বর্মন দলের সমালোচনাও করেন। তাঁকে বলতে শোনা যায়, দল কর্মীদের বক্তব্য শুনছে না। এমনকি ত্রিপুরায় যে বিজেপি তান্ডব চালাচ্ছে তাও মেনে নেন সুদীপ রায় বর্মন। প্রকাশ্যেই বলেন, হামলা হুজ্জুতি বন্ধ হওয়া প্রয়োজন।
দলকে চাপে রাখতে সুদীপের এই স্ট্র্যাটেজি এবারেও খাটলো না। লবির লোককে মন্ত্রিসভায় পাঠাতে পারলেন না তিনি। বিক্ষুব্ধ সুদীপের বিদ্রোহের মাত্রা কি এবার বাড়বে? পাকাপাকিভাবে কি তিনি দল ছাড়বেন? সুদীপের ক্ষোভকে কি সুকৌশলে কাজে লাগাবে তৃণমূল নেতৃত্ব? উত্তরের অপেক্ষায় প্রমাদ গুনছে ত্রিপুরা