মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার সেলভান ২০০১ সালে সফটওয়্যার প্রযুক্তিতে কাজ শুরু করেন। এর আগে অবশ্য নিজের মূল সেক্টরে কাজ করেছিলেন। ১ লক্ষ টাকা খরচের একটি কোর্স শেষ করার পরে ২০০৬ সালে একজন সহকারি সিস্টেম ইঞ্জিনিয়র হিসাবে টিসিএস-এ যোগ দেন। যদিও খারাপ পারফরম্যান্সের কারণ দেখিয়ে সেলভানকে ২০১৫ সালে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছিল। সংস্থার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আইনের আশ্রয় নিয়েছিলেন সেলভান। মামলার শুনানিতে টিসিএস বলে যে সেলভান একটি ম্যানেজারিয়াল ক্যাডারে কাজ করছিলেন এবং কর্মীর অধীনে তিনি পড়েন না। আদালতকে জানানো হয়েছিল যে তিনি ম্যানেজারিয়াল ক্যাপাসিটিতে কাজ করেছেন। খারাপ পারফরম্যান্সের কারণে তাঁকে ছাঁটাই করা হয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন : রোগা হবেন? ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখবেন? কালোজাম খেয়ে এর বীজ ভুলেও ফেলবেন না
২০১৫ সালে ছাঁটাইয়ের পরে রিয়েল এস্টেট ব্রোকারেজের মতো অন্যান্য অদ্ভুত চাকরির সঙ্গে সঙ্গে সফটওয়্যার প্রকল্পগুলিতে ফ্রিল্যান্স পরামর্শদাতা হিসাবে কাজ করেছেন সেলভান। তাঁর মাসিক বেতন ১০ হাজার টাকায় নেমে আসে। সংগ্রামের কথা স্মরণ করে সেলভান বলেন, "গত সাত বছরে আমি দেড়শোবারের বেশি আদালতে গিয়েছি।"
আরও পড়ুন : বর্ষায় বদহজম ও পেটের গণ্ডগোলে কাতর? সুরাহা আপনার হাতের মুঠোয়
সেলভানের আইনি লড়াইয়ে সমর্থন জানায় ফোরাম ফর আইটি এমপ্লয়িজ (Forum for IT Employees)। এটি প্রযুক্তিবিদদের জন্য একটি শ্রমিক ইউনিয়ন। শ্রম আদালতের রায়ের পর সংগঠনটি এক বিবৃতিতে বলেছে, "যে কোনও জায়গায় ন্যায়বিচার সর্বত্র আশা জোগায়। যারা কর্মচারীদের পদত্যাগ করতে বাধ্য করছে, তাদের জন্য এই রায় মনে রাখার মতো। আমাদের চেন্নাইয়ের শাখা দুর্দান্ত কাজ করেছে। ন্যায়বিচারের জন্য লড়াই করা ওই কর্মীকে স্যালুট।"