আরও পড়ুন : হাসপাতালে ভর্তি সুজিত বসু! আচমকা অসুস্থ দমকলমন্ত্রী কেমন আছেন এখন?
জুলাই মাসের দুই তারিখে বিমানে কাশ্মীরের উদ্দেশে রওনা হন কৌশিক কর্মকার এবং তার স্ত্রী ঝিলম কর্মকার। ৪ তারিখ সন্ধেবেলা তাঁরা পৌঁছন বালতাল বেসক্যাম্পে। সেখান থেকেই ৫ তারিখ সকালে তাঁদের যাত্রা শুরু করার কথা ছিল। কিন্তু ৫ তারিখ সকালে আবহাওয়ার পরিবর্তনের কারণে বাতিল করতে হয় যাত্রা। তুমুল বৃষ্টির ফলে অনিশ্চিত হয়ে পড়ে তাঁদের যাত্রা। ৬ তারিখ ভোরেও বৃষ্টি না কমায় বেরোনো সম্ভব হয়নি তাঁদের পক্ষে। ওইদিনই একটু বেলা বাড়ার পর বেরোতে পারেন তাঁরা। ঘণ্টা তিনেকের মধ্যে পৌঁছন দোমাইল চেক পয়েন্টে। সেখান থেকে ট্রেক করার সময় আবহাওয়া বেশ খারাপ ছিল বলেই জানান কৌশিকবাবু। যাঁরা ট্রেক করে যাচ্ছিলেন তাঁদের পাশাপাশি এবং পালকিতে যাওয়া তীর্থযাত্রীদের ভিড়ে যথেষ্ট সমস্যায় পড়েন তাঁরা। কোনও কোনও জায়গায় বেশ কিছুক্ষণ করে দাঁড়ানোর পরে তারা এগোতে পারেন। মাঝের একদিন তীর্থযাত্রা বন্ধ রাখার কারণে এই অতিরিক্ত ভিড় বলে জানতে পারেন তাঁরা। অমরনাথ গুহার কাছে পৌঁছাতে পৌঁছাতে সেদিন প্রায় রাত্রি এগারোটা বেজে যায়।
advertisement
আরও পড়ুন : বিয়ের পর মহিলারা সবথেকে বেশি কী সার্চ করেন Google-এ? উত্তর জানলে চমকে যাবেন পুরুষরা!
তারপরের দিন অর্থাৎ ৭ তারিখ আবহাওয়া বেশ কিছুটা শান্ত হয়৷ তবে সেই অতিরিক্ত ভিড়ের ফলে রাস্তাতেও বেশ কিছু সমস্যায় পড়তে হয় তাঁদের। সেখান থেকে বালতাল হয়ে ফেরার পথে বেশ কিছু ফোন পান। তখনই তাঁরা জানতে পারেন এই বিষয়ে। প্রত্যেকের গলায় তখন ছিল উৎকন্ঠার ছাপ। সবার সঙ্গে যোগাযোগ করে, গতকাল কলকাতা ফেরেন কৌশিক কর্মকার এবং ঝিলম কর্মকার। যাঁরা এখনও আটকে আছেন, তাঁরা শীঘ্রই ফিরে আসুন বাড়িতে, এখন এইটাই চাইছেন তাঁরা। তবে ভবিষ্যতে ফের সুযোগ পেলে অমরনাথ যাবেন বলে জানিয়েছেন এই দম্পতি।
Sanhyik Ghosh