আদতে বানরবাহিনীর দাপটে নাজেহাল কর্ণাটকের ওই এলাকার বাসিন্দারা। এলাকারই কিছু ছাত্ররা শুধু বানর তাড়িয়ে কুড়ি হাজার পর্যন্ত টাকা পেয়ে যাচ্ছেন!
সিদ্দাপুর গ্রামে সদ্য ফসল তোলা হয়েছে। ফসল তোলার সঙ্গে সঙ্গেই শুরু হয়েছে বাঁদরের বাঁদরামি। ফসল নষ্ট করা থেকে শস্যের গোলা নষ্ট করে দুই ক্ষেত্রেই বানরের উৎপাতে নাজেহাল হয়ে পড়ে এলাকাবাসীরা। এরপরেই এলাকার অন্তত ১০ থেকে ২০টি বাড়ির লোকেরা মিলে ঠিক করেন এর কিছু একটা বিহিত প্রয়োজন। এবং ঠিক এরপরেই চলে আসে শস্য পাহারা দেওয়ার জন্য লোকের প্রয়োজনীয়তা। সেখান থেকেই গ্রামেরই কিছু তরুণ ছাত্রদের এই কাজে নিয়োগ করা হয়। কাজ তেমন কিছুই নয়।
advertisement
আরও পড়ুন: ধু ধু মাঠের মাঝখানে ৩ কোটির সেতু! বিহারের কাণ্ড দেখলে হাঁ হয়ে যাবেন
বানরবাহিনীকে শায়েস্তা করতে হবে। আর শায়েস্তা করতে পারলেই মিলবে ২০ হাজার টাকার পারিশ্রমিক। আর তার ফলও মিলছে হাতে নাতে। শস্য নষ্ট বেঁচে যাওয়ার ফলে লাভের মুখ দেখছেন এলাকার লোকজন। এবং পারিশ্রমিক পেয়ে খুশি এই কাজে নিয়োজিত তরুণরাও।
তবে এতটাও সহজ কাজ নয়। ভোর সাড়ে ছটা থেকে কাজ শুরু হয়ে শেষ হয় সন্ধ্যা সাতটায়। শস্যের দিকে সবসময় তীক্ষ্ণ নজর রাখতে হয়। নজর রাখতে হয় পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতির উপরেও। রোজ শস্যের থেকে দূরে রাখতে হয় ৫০-৬০টি দুষ্টু বানরকে, তবেই মেলে এই পারিশ্রমিক।