চলতি বছরের ডিসেম্বর মাসে বউবাজারের সব কাজ শেষ করতে চায় কেএমআরসিএল। সাড়ে চার মিটার অংশের কাজ বাকি ছিল। সেই কাজ শেষ হয়ে গেল। এই কাজ সম্পন্ন হওয়ায় লাইন পাতা যাবে। এই অংশে কাজ করতে গিয়ে ২০২২ সালের অক্টোবরে সমস্যা হয়। দীর্ঘ সময় ধরে ধর্মতলা-হাওড়া ময়দান মেট্রোর কাজ ফেলে রাখতে চায় না রেল। বউবাজারের বেস স্ল্যাবের কাজ দ্রুত শেষ করার নির্দেশ দেওয়া হয়। জলদি যাতে ধর্মতলা থেকে হাওড়া ময়দান ট্রায়াল রান শুরু করা যায়।
advertisement
আরও পড়ুন - ৬৫ ঘণ্টা তল্লাশি, জেরার পর অবশেষে সিবিআই-এর হাতে গ্রেফতার জীবনকৃষ্ণ সাহা
আরও পড়ুন - ২০ বছর বাদে পাহাড়ে পঞ্চায়েত, তৃণমূলকে হারাতে আদাজল খেয়ে একজোট!
বউবাজারের সমস্যার জন্যে সল্টলেক থেকে রেক আনা যাচ্ছিল না। রেলওয়ে বোর্ড চেয়ারম্যান ভিসি করেন মেট্রোরেল ও কেএমআরসিএল আধিকারিকদের সঙ্গে। সম্প্রতি কলকাতায় এসেছিলেন রেল বোর্ড চেয়ারম্যান। সেখানেও এই বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ করতে বলেছেন তিনি। বেস স্ল্যাব কাজ শেষ হয়ে যাওয়ায় সল্টলেক থেকে মেট্রো রেক আনা সম্ভব হয় হাওড়ায়।
বউবাজারে মাটির নীচে পাশাপাশি থাকা দুই সুড়ঙ্গে যাতায়াতের জন্য আটটি ক্রস প্যাসেজ তৈরি হওয়ার কথা ছিল। ক্রস প্যাসেজের নাম্বার ছিল ১,২,৩,৪,৫এ,৫বি,৬ ও ৭, এই ক্রস প্যাসেজ তৈরি করতে গিয়েই জল ঢোকে ফের। সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বউবাজারে ১,২,৩ নম্বর ক্রস প্যাসাজ তৈরি হবে না। ৪ ও ৬ নম্বর ক্রস প্যাসাজ তৈরি হয়ে গেছে।
অন্য দিকে সুবোধ মল্লিক স্কোয়্যারে কাজ নিয়েও একটা জটিলতা তৈরি হয়। সেখানে এভাকুয়েশন স্যাফট বানাচ্ছিল মেট্রো। আপাতত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে সেখান দিয়ে আর যাত্রী ওঠানামা করানো হবে না। শুধু বায়ু চলাচলের ব্যবস্থা থাকবে।পরিবর্তে বউবাজারে দুর্গা পিতুরী লেনের কাছে নেওয়া হচ্ছে ১৪৪০ স্কোয়্যার ফিট জায়গা। সেখান দিয়েই যাত্রী ওঠানামা করবে। প্রসঙ্গত, মেট্রোর দুটি স্টেশনের মধ্যে দূরত্ব ২ কিমি বেশি হলে মাঝে এভাকুয়েশন স্যাফট করতে হয়। এ ছাড়া ২৫০ মিটার অন্তর অন্তর বানাতে হয় ক্রস প্যাসাজ। যেহেতু ১,২,৩ নম্বর ক্রস প্যাসাজ হবে না তাই বউবাজারেই হবে নয়া এভাকুয়েশন স্যাফট।