প্রতিদিনই বেলা ১২টা পর্যন্ত থাকছে কুয়াশা। পরে সামান্য রোদ উঠলেও, বিকেল ৩টে থেকে আলো কমে যাচ্ছে। দিনেও হেডলাইট জ্বালিয়ে গাড়ি চালাতে হচ্ছে। শীতের কারণে সকালের দিকে যাত্রীদের দেখা মিলছে না। তার ফলে বাসের সংখ্যাও কমে গিয়েছে। পূর্ব রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, কুয়াশার কারণে বিভিন্ন ট্রেন কম গতিতে চলছে। কুয়াশার কারণে দূরপাল্লার অনেক ট্রেনেরও গতি কমেছে।
advertisement
আরও পড়ুন: 'যদি ঢিল মারতেই হয়, উপযুক্ত জায়গায় গিয়ে মারুন', কোন দিকে ইঙ্গিত সুকান্তর? শুরু বিতর্ক
শীতে জবুথবু হয়ে সকালের দিকে অনেকটাই ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। রাস্তায় লোকজন কম বেরোচ্ছেন। দেখা মিলছে না প্রাতর্ভ্রমণকারীদেরও। এই সময় একটু বেলার দিকে মর্নিং ওয়াকের পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
গত দু দিন ধরেই সন্ধের পরে বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া রাস্তায় বেরচ্ছেন না মানুষ। নানা মোড়ে, ফাঁকা জায়গায় জটলা বেঁধে আগুন পোহাতে দেখা যাচ্ছে অনেককে। ভিড় হচ্ছে শুধু চায়ের দোকানে। বড়দিনের ছুটির পরে স্কুল খুললেও শীতের কারণে হাজিরা তুলনায় কম বলে জানিয়েছেন বিভিন্ন স্কুল কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন: দিল্লি কাণ্ডে নয়া মোড়, তরুণীর সঙ্গে ছিলেন এক বান্ধবীও! দুর্ঘটনার পরই উধাও
আলু চাষ চলছে জেলাজুড়ে। ঠান্ডা আবহাওয়া আলু চাষের জন্য অনুকূল হলেও বিপত্তি বাঁধাচ্ছে কুয়াশা। চাষিরা জানাচ্ছেন, এতে রোগপোকার হামলা বাড়ে, গাছের বৃদ্ধিও কম হয়। ধসা রোগের জন্য কীটনাশক দেওয়া শুরু হয়েছে অনেক জমিতে। ধানের 'কোল্ড ইনজুরি' নিয়ে সতর্ক করছেন কৃষিকর্তারা। তাঁদের দাবি, অতিরিক্ত ঠান্ডায় বীজতলায় ধানের চারা হলুদ হয়ে ধীরে-ধীরে শুকিয়ে যায়। জল ঢোকা-বেরনোর ব্যবস্থা করে বীজতলা স্বচ্ছ প্লাস্টিকে ঢেকে রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন তাঁরা।
