গত ২২ এপ্রিল পহলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলায় মোট ২৬ জনের মৃত্যু হয়৷ এই হামলার দায় স্বীকার করে টিআরএফ৷ বিশ্বজুড়ে এই হামলার প্রতিবাদে নিন্দার ঝড় উঠতেই একটি বিবৃতি জারি করে ওই জঙ্গি সংগঠন৷
টিআরএফ-এর সেই বিবৃতি নিউজ ১৮-এর হাতে এসেছে৷ সেখানে বলা হয়েছে, যাঁদের নিশানা করা হয়েছে, তাঁরা কেউই সাধারণ পর্যটক নন৷ এঁরা প্রত্যেকেই র, আইবির মতো ভারতীয় নিরাপত্তা এজেন্সির সঙ্গে যুক্ত নয়তো নৌসেনা অথবা সরকারি কোনও পদে ছিলেন৷ এই দলটিকে দিল্লি থেকেই সমস্ত সুযোগ সুবিধা দিয়ে কাশ্মীর উপত্যকার পরিস্থিতি সরোজমিনে খতিয়ে দেখার জন্য পাঠানো হয়েছিল৷ এদের সঙ্গে কয়েকজন বিদেশিকে পাঠানো হয়েছিল৷ এটা কোনও সাধারণ পর্যটকদের দল ছিল না, বরং গবেষণার দায়িত্ব দিয়ে গুপ্তচরবৃত্তির জন্যই এদের পাঠানো হয়েছিল৷
advertisement
আরও পড়ুন: অভিনন্দন বর্তমানের মিগ ২১-কে ধ্বংস করেছিলেন, ভারতকে বড় হুঁশিয়ারি পাক বায়ুসেনার সেই অফিসারের
টিআরএফ-এর বিবৃতিতে আরও দাবি করা হয়েছে, অতীতেও একই ধরনের দায়িত্ব দিয়ে গুপ্তচরবৃত্তি করতে আরও বেশি কয়েকটি দলকে কাশ্মীরে পাঠানো হয়েছিল৷ তাদের সুপারিশের উপর ভিত্তি করে কেন্দ্রীয় সরকার বেশ কয়েকটি একতরফা সিদ্ধান্ত এবং পদক্ষেপও নিয়েছে৷
টিআরএফ-এফ অভিযোগ অনুযায়ী, সেই সমস্ত পদক্ষেপের মধ্যে রয়েছে বিপুল সংখ্যক বহিরাগতদের কাশ্মীরে বসবাস করার অনুমতি দেওয়া৷ টিআরএফ-এর বিবৃতি অনুযায়ী, ভারতের দ্বারা বেআইনি ভাবে দখল করে রাখা কাশ্মীরের ভূখণ্ডে মোতায়েন করা নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের কাশ্মীরে বসবাস করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে৷ বহিরাগতদের বিপুল সংখ্যায় সরকারি চাকরিতে নিযুক্ত করা হয়েছে৷ বহিরাগতদের সরকারি এবং বেসরকারি বিভিন্ন প্রকল্পের কাজের বরাত দেওয়া হচ্ছে৷ স্থানীয় কর্মসংস্থান এবং উচ্চশিক্ষার সুযোগকে সীমাবদ্ধ করে দেওয়া হয়েছে৷ স্থানীয় কাজ থেকে বহিষ্কার করা৷ নিরাপত্তার প্রয়োজনের অছিলায় জমি দখল করে নেওয়া, শিল্পের নামে বহিরাগতদের হাতে কাশ্মীরের জমি তুলে দেওয়া৷
এই সমস্ত অভিযোগ তুলে টিআরএফ দাবি করেছে, জম্মু কাশ্মীরের স্বার্থরক্ষার লড়াইকে যাঁরা দমন করার চেষ্টা করেছে, তাদের উপযুক্ত শিক্ষা দিতে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা মাফিক হামলা চালানো হয়েছে৷
ভারতীয় গোয়েন্দা এজেন্সিগুলির আশঙ্কা, এবার জম্মু কাশ্মীরে বসবাসকারী বহিরাগতদের উপর হামলা করা হতে পারে৷ সূত্রের খবর, এই মর্মে সতর্কবার্তাও জারি করা হয়েছে৷ পর্যটক, অন্যান্য রাজ্য থেকে কাশ্মীরে বিভিন্ন প্রয়োজনে আসা মানুষ, কাশ্মীরি পণ্ডিত, পুলিশ এবং রেলকর্মীদের জন্য এই সতর্কবার্তা জারি হয়েছে৷ ওই সতর্কবার্তায় নির্দিষ্ট ভাবে বলা হয়েছে, পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই এবং তাদের সহযোগী জঙ্গি সংগঠনগুলি জম্মু কাশ্মীরের শ্রীনগর অথবা গান্ডারবল জেলায় পর্যটক, অন্য রাজ্যের বাসিন্দা, পুলিশ এবং কাশ্মীরি পণ্ডিতদের উপরে হামলা চালানো হতে পারে৷