আরও পড়ুন- "ইচ্ছা ছিল, দ্য কাশ্মীর ফাইলস সিনেমায় গাইবেন লতা মঙ্গেশকর": বিবেক অগ্নিহোত্রী
ইয়েচুরির প্রশ্ন, “মুসলিম, শিখ এবং কাশ্মীর পণ্ডিত সহ যেকোনও ধর্ম বা সম্প্রদায়ের মানুষই কাশ্মীরে সমানভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন। কেন শুধু কাশ্মীরি পণ্ডিতরাই জায়গা ছেড়ে চলে গেলেন?” তিনি জানান, যে সময়টাতে এই অভিবাসন চলছে তখন তৎকালীন রাজ্যপাল জগমোহন মালহোত্রার (Governor Jagmohan Malhotra) ভূমিকা কী ছিল এই চলচ্চিত্রে তা প্রতিফলিত হয়নি। “এটা সিনেমায় তুলে ধরা হয়নি। তাঁর কী ভূমিকা ছিল সেটাও মানুষের জানা উচিত ছিল,” বলেন ইয়েচুরি।
advertisement
“প্রতিটি সম্প্রদায় সমানভাবে সন্ত্রাসবাদের শিকার হয়েছে,” বলে দাবি করেন ইয়েচুরি। শ্রীনগর পুলিশের একটি সাম্প্রতিক RTI-এর উত্তরের উল্লেখ করেন সীতারাম ইয়েচুরি। সেই উত্তরে বলা হয়েছে, সন্ত্রাসবাদের সূচনার সময় থেকে ৮৯ জন পণ্ডিত এবং ১,৬৩৫ জন মুসলিম এবং অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের হত্যা করা হয়েছে।
ইয়েচুরি বলেন, “সিনেমাটি (The Kashmir Files) ধর্মীয় অন্ধ আবেগকে উস্কে দিচ্ছে এবং মানুষের মেরুকরণ করছে। এতে দেশের কোনও লাভ হবে না।” তিনি আরও জানান, এডিটরস গিল্ড অফ ইন্ডিয়াও সিনেমাটি (The Kashmir Files) নিয়ে বিবৃতি দিয়েছে। “আপনি কি ভারতে গোধরা এবং অন্যান্য দাঙ্গার উপর সিনেমা তৈরির অনুমতি দেবেন?” প্রশ্ন করেন ইয়েচুরি।
আরও পড়ুন- ১৫ দিনেই রেকর্ড ব্যবসা! 'The Kashmir files' অভিনেতা-অভিনেত্রীরা কত টাকা নিয়েছেন?
৩৭০ ধারা বাতিলকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে পিটিশনের দ্রুত শুনানির দাবিও জানিয়েছেন এই প্রবীণ নেতা। তিনি জানান, যতক্ষণ না পর্যন্ত আবেদনটির নিষ্পত্তি হচ্ছে ততক্ষণ সরকারের নতুন সিদ্ধান্ত বা নিয়ম নেওয়া উচিত নয়।
বরিষ্ঠ এই সিপিআই (এম) নেতা আরও জানান, বেকারত্ব এবং মূল্যবৃদ্ধি জনগণকে অত্যন্ত কষ্টের মধ্যে ফেলছে এবং দেশের সাংবিধানিক স্তম্ভগুলিকে নিয়মিত অবহেলা করা হচ্ছে। তিনি বলেন, “সংসদ এবং দেশের অন্যান্য প্রধান প্রতিষ্ঠান যেমন ভারতের নির্বাচন কমিশন, সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশনকে রাজনৈতিক ফায়দা লোটার কাজে অপব্যবহার করা হচ্ছে। সংবিধান ও প্রতিষ্ঠানকে যেভাবে দুর্বল করা হচ্ছে তাতে গণতন্ত্রের প্রতি মানুষের আস্থা আরও কমে যাবে।”