প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য এবং অর্থনীতিবিদ সঞ্জীব সান্যাল এক বছর আগেই পুরনো সংস্থাগুলিকে বন্ধ করে দেওয়ার সুপারিশ করেন। সেই সুপারিশ মেনেই সংস্থাটিকে বন্ধ করে দিতে চলেছে রেলমন্ত্রক। মূলত রেলের নানান সরঞ্জাম এবং যন্ত্রপাতি কেনার কাজ করত এই সংস্থাটি। তবে তাদের বিশ্বাসযোগ্যতা এবং অন্যান্য দক্ষতার কারণে রেল ছাড়াও কেন্দ্রের বিভিন্ন মন্ত্রক তাদের পরামর্শ দিত। রেলের তরফে বলা হয়েছে, এই সংস্থায় বদলি হতেন রেলেরই বিভিন্ন জোনাল কর্মী আধিকারিকেরা। তাঁদের আবার বিভিন্ন জোনাল রেলে বদলি করে দেওয়া হবে। সংস্থার কার্যালয়টি অন্য কাজে ব্যবহার করা হবে বলে জানানো হয়েছে রেলের তরফে।
advertisement
আধিকারিকদের জোনাল রেলে বদলি করে দেওয়ার পর তাঁদের মাধ্যমেই এবার থেকে নানান সরঞ্জাম এবং যন্ত্রাংশ কেনাকাটা করা হবে। ফলে দক্ষতা এবং বিশ্বাস যোগ্যতার কোনও খামতি থাকবে না বলে মনে করছেন রেল মন্ত্রকের আধিকারিকরা। সংস্থার বকেয়া দরপত্র গুলি ইতিমধ্যেই জোনাল রেলে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন- রাজ্য পুলিশ দিয়ে এ রাজ্যে কোনও ভোট হাওয়াই উচিৎ নয়, বললেন সুকান্ত মজুমদার
মূলত রেলের প্রযুক্তি ও জটিল বিভিন্ন যন্ত্রপাতির আধুনিকীরকরণ করতে এই সংস্থা প্রতিষ্ঠা করা হয়। রেলের বিভিন্ন যন্ত্রাংশ আধুনিকীকরণ এবং সেগুলোকে কম্পিউটার চালিত করে তুলতে তৈরি করা হয় সেন্ট্রাল অর্গানাইজেশন ফর মর্ডানাইজেশন অফ ওয়ার্কশপ। এই সংস্থা বন্ধ করার পিছনে রেলের যুক্তি, যে পদ্ধতিতে এতদিন সরঞ্জাম কেনা হত তার আর কোনও দরকার নেই।