রাজ্য পুলিশ দিয়ে এ রাজ্যে কোনও ভোট হাওয়াই উচিৎ নয়, বললেন সুকান্ত মজুমদার

Last Updated:

রাজ্য পুলিশ দিয়ে পঞ্চায়েত ভোট করালে আদালতে যাওয়ার হুঁশিয়ারি বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের। 

রাজ্য পুলিশ দিয়ে এ রাজ্যে কোনও ভোট হাওয়াই উচিৎ নয়, বললেন সুকান্ত মজুমদার
রাজ্য পুলিশ দিয়ে এ রাজ্যে কোনও ভোট হাওয়াই উচিৎ নয়, বললেন সুকান্ত মজুমদার
ভেঙ্কটেশ্বর লাহিড়ী, কলকাতা: ‘‘রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলার যা পরিস্থিতি তাতে কেন্দ্রীয় বাহিনী ছাড়া বাংলায় কোনও ভোট হওয়াই উচিৎ নয়। পঞ্চায়েতে যদি সরকার রাজ্য পুলিশ দিয়ে ভোট করাতে চায় তাহলে আমরা আদালতে যাব।’’ হুঁশিয়ারি বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের।
তবে আদালত যা রায়ই দিক, পঞ্চায়েতে লড়াইয়ের জন্য যে তাঁরা প্রস্তুত সেকথাও স্পষ্ট করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। বলেন, ‘‘সব বুথে লড়াই হবে। আদালতে লড়াই হবে। রাজনীতির ময়দানেও  লড়াই হবে।’’ সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে সম্ভবত আগামী বছরের মার্চ-এপ্রিল মাসের মধ্যেই রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে চলেছে ৷ খবর রাজ্য নির্বাচন কমিশন সূত্রের।
advertisement
advertisement
ইতিমধ্যেই নির্বাচন কমিশন এবং রাজ্য পঞ্চায়েত দফতরের পক্ষ থেকে নির্বাচনের প্রস্তুতি নেওয়া শুরু হয়েছে। নির্বাচনের জন্য সীমানা পুনর্বিন্যাস, আসন সংরক্ষণের জন্য প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া শেষ হয়ে গিয়েছে৷ সেই তালিকার একাংশ প্রকাশও করা হয় বুধবার। সম্ভবত আগামী বছরের জানুয়ারি মাসেই এ রাজ্যের পঞ্চায়েত নির্বাচনের বিজ্ঞপ্তি জারি হবে ৷ রাজ্য পুলিশ দিয়েই ভোট করানো হবে বলে এখনও পর্যন্ত কমিশনের ইঙ্গিত।
advertisement
রাজ্য প্রশাসন সূত্রে খবর, নভেম্বর মাসেই দুয়ারে সরকারের শিবির আয়োজিত হবে রাজ্য জুড়ে ৷ পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে যা সম্ভবত শেষ দুয়ারে সরকার হতে চলেছে৷ ফলে এই শিবির থেকেই প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের মানুষকে সরকারি প্রকল্পের সুবিধা আরও বেশি করে পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করা হবে৷ পঞ্চায়েত নির্বাচনের সম্ভাব্য সময় ধরে নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস ৷ একই ভাবে প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে বিজেপিও ৷ ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে গোটা রাজ্যে ৩৮,১১৮টি গ্রাম পঞ্চায়েতে জয়ী হয়েছিল তৃণমূল ৷ ৮০৬২টি পঞ্চায়েত সমিতি এবং ৮৭৩টি জেলা পরিষদে জয়ী হয় তারা ৷ অন্যদিকে বিজেপি ৫৭৭৯টি গ্রাম পঞ্চায়েত, ৭৯৩টি পঞ্চায়েত সমিতি এবং ২২টি জেলা পরিষদে জয়ী হয় ৷ এই ফলের উপরে ভিত্তি করেই ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যে ১৮টি জয়ী হয় বিজেপি ৷
advertisement
২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে রাজ্য জুড়ে ব্যাপক সন্ত্রাসের অভিযোগ উঠেছিল শাসক দলের বিরুদ্ধে ৷ পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছিল ৷ এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচন শান্তিপূর্ণ করা তাই পুলিশ-প্রশাসনের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ ৷ এই পরিস্থিতিতে রাজ্য পুলিশ দিয়ে যদি পঞ্চায়েত ভোট করানো হয় সেক্ষেত্রে শাসক দল ব্যাপক সন্ত্রাস করবে। জেলায় জেলায় হিংসার ঘটনা ঘটবে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করছে  গেরুয়া শিবির। আর সেই কারণেই রাজ্য পুলিশ নয়, কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপরই আস্থা রাখছে পদ্ম শিবির। এ রাজ্যের পদ্ম শিবিরের সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের বক্তব্য, ‘‘ফলাফল ফ্যাক্টর নয়, তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে অশান্তি ও  হিংসা আটকানোর লক্ষ্যেই পঞ্চায়েত ভোটে সেন্ট্রাল ফোর্সের প্রয়োজন রয়েছে।’’
Click here to add News18 as your preferred news source on Google.
কলকাতা এবং পশ্চিমবঙ্গের সব লেটেস্ট ব্রেকিং নিউজ পাবেন নিউজ 18 বাংলায় ৷ থাকছে দক্ষিণবঙ্গ এবং উত্তরবঙ্গের খবরও ৷ দেখুন ব্রেকিং নিউজ এবং সব গুরুত্বপূর্ণ খবর নিউজ 18 বাংলার লাইভ টিভিতে ৷ এর পাশাপাশি সব খবরের আপডেট পেতে ডাউনলোড করতে পারেন নিউজ 18 বাংলার অ্যাপ ৷  News18 Bangla-কে গুগলে ফলো করতে  ক্লিক করুন এখানে ৷ 
view comments
বাংলা খবর/ খবর/কলকাতা/
রাজ্য পুলিশ দিয়ে এ রাজ্যে কোনও ভোট হাওয়াই উচিৎ নয়, বললেন সুকান্ত মজুমদার
Next Article
advertisement
MGNREGA: মনরেগাকে ধ্বংস করেছে মোদি সরকার! কোটি কোটি কৃষক শ্রমিকদের স্বার্থে আঘাত, কেন্দ্রের নয়া ‘কালো আইনের’ বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ডাক সনিয়ার
মনরেগাকে ধ্বংস করেছে মোদি সরকার! ‘কালো আইনের’ বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ডাক সনিয়ার
  • মনরেগা প্রকল্পের নাম বদল নিয়ে এবার মোদি সরকারের বিরুদ্ধে সরব সোনিয়া গান্ধি

  • কংগ্রেসে নেত্রীর দাবি, মনরেগা প্রকল্পকে কার্যত ধ্বংস করে দিল বিজেপি

  • প্রকল্পকে বদলের আইনকে ‘কালো আইন (ব্ল্যাক ল)’ বলে উল্লেখ্য সোনিয়ার৷

VIEW MORE
advertisement
advertisement