ভারতের এক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, অভিযুক্ত তুলসীরাম ২১ লাখ টাকা মূল্যের একটি থার রক্স জিপ চুরি করেন, যখন তিনি জানতে পারেন যে গাড়ির মালিক সচিন গোখলে মারা গেছেন। গোখলে ছিলেন স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া (SBI) এক শাখার ম্যানেজার।
আরও পড়ুন: ফের কেঁপে উঠল পায়ের তলার জমি! হোলির দিন ভয়ঙ্কর ভূমিকম্পে প্রবল আতঙ্কে মানুষ, জানুন কোথায়…
advertisement
কীভাবে ঘটল চুরির ঘটনা? তুলসীরাম জানতেন যে, গাড়ির চাবিটি SBI-এর গেস্ট হাউসে থাকা গোখলের ফ্ল্যাটে রাখা ছিল। চাবি সংগ্রহ করতে তিনি তার ভাইয়ের সাহায্য নেন, যিনি ওই গেস্ট হাউসে কাজ করতেন। এরপর তিনি গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে যান।
যখন তিনি গাড়িটি পার্কিং থেকে বের করছিলেন, তখন নিরাপত্তারক্ষী তাকে জিজ্ঞাসা করেন। কিন্তু তুলসীরাম মিথ্যা বলে জানান যে, তিনি গাড়িটি গোখলের পরিবারের কাছে ইন্দোর নিয়ে যাচ্ছেন।
পরে গোখলের পরিবার যখন এই চুরির খবর জানতে পারে, তারা সঙ্গে সঙ্গে থানায় অভিযোগ দায়ের করে।
গাড়ি চুরি করে দুর্ঘটনার কবলে। গাড়ি চুরির পর তুলসীরাম তার বন্ধুর জন্মদিন উদযাপনে নিয়ে যান থার জিপটি। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত, রাস্তার মধ্যে একটি মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দিয়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়েন তিনি। এরপর গাড়িটি মেরামত করানোর সময় তিনি এটি বিক্রি করার চেষ্টাও করেন। কিন্তু পুলিশের হাতে ধরা পড়ে যান।
কীভাবে পুলিশ ট্র্যাক করল অভিযুক্তকে? ভোপাল পুলিশ এই ঘটনার তদন্তে দুটি আলাদা দল গঠন করে। একদল ৩৫-৪০টি সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ করে গাড়ির গতিবিধি ট্র্যাক করে। অন্যদল প্রত্যক্ষদর্শীদের জিজ্ঞাসাবাদ করে এবং এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে তথ্য সংগ্রহ করে।
তদন্ত চলাকালীন পুলিশ জানতে পারে যে, প্ল্যাটিনাম প্লাজা এলাকা থেকে তুলসীরাম গাড়িটি নিয়ে বের হয়েছিলেন, যা গোখলে তার মৃত্যুর আগে শেষবার পার্ক করেছিলেন। পরে, পুলিশ তুলসীরামের অবস্থান শনাক্ত করে, তাকে ঘিরে ধরে এবং চুরি যাওয়া থার উদ্ধার করে। জিজ্ঞাসাবাদের সময় তিনি অপরাধ স্বীকার করেন।
বর্তমানে পুলিশ এই চুরির ঘটনায় আর কেউ জড়িত আছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে।