আরও পড়ুনঃ মুম্বইগামী ট্রেনে হঠাৎ গুলি, নিহত ৪! গ্রেফতার আরপিএফ কনস্টেবেল
১৮ জুলাই পুণের ব্যস্ত কোঠরুড এলাকা থেকে মহম্মদ ইমরান এবং মহম্মদ ইউনুস নামে দুই সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করে পুণে এটিএস। ওই দুজন ইসলামিক স্টেট খোরাসান প্রভিন্স (আইএসকেপি)-এর হয়ে কাজ করছিল। আর এনআইএ-র একটি মামলায় এই দুজনের খোঁজেই তল্লাশি করা হচ্ছিল। শুক্রবার আবার ইমরান এবং ইউনুসকে সাহায্য করার অভিযোগে রত্নগিরির পেন্ধারি থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল সিমাব নাসারুদ্দিন কাজিকে। পেশায় মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার ধৃত নাসারুদ্দিনের বিরুদ্ধে কোন্ধাওয়ার গ্রাফিক ডিজাইনার কাদির দস্তাগির পাঠানকে টাকা পাঠানোর অভিযোগ রয়েছে।
advertisement
সূত্রের খবর, ইমরান আর ইউনুস ইসলামিক স্টেট বা আইএস জঙ্গিগোষ্ঠীর সক্রিয় কর্মী। জিজ্ঞাসাবাদে উঠে এসেছে যে, এরা দুজনেই মুম্বইয়ের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে নাশকতার ছক কষেছিল। এই জায়গাগুলির মধ্যে অন্যতম হল চাবাড হাউজ এবং কোলাবা বস্তির কাছে নেভাল হেলিপ্যাড। এখানেই শেষ নয়, জঙ্গিরা এমন কিছু গুরুত্বপূর্ণ মন্দিরকেও নিশানা করেছিল, যেখানে প্রতিদিন হাজার হাজার ভক্ত সমাগম হয়। এমনকী এই দুই সন্দেহভাজন জঙ্গি হাইড্রোইলেকট্রিক পাওয়ার প্রকল্পেও হামলার ছক কষেছিল। আসলে এই প্রকল্প দেশের উন্নতি এবং বিকাশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই হামলা করার জন্য কোলাবা এলাকায় ঘুরে প্রচুর ছবিও তুলেছিল ওই সন্দেহভাজন জঙ্গিরা।
সন্দেহভাজন জঙ্গিদের সঙ্গে থাকা ল্যাপটপের তথ্যও খতিয়ে দেখেছেন তদন্তকারীরা। সেখান থেকে জানা গিয়েছে যে, জঙ্গিরা চোখ রেখেছিল ভিআইপি-দের গতিবিধির উপরেও। তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন যে, এই জঙ্গি দলটি খুবই কৌশলগত ভাবে কাজ করছে। এক দিকে তারা রেইকি করছিল, অন্য দিকে আবার আইইডি এবং বিস্ফোরক বানানোর প্রশিক্ষণও দিচ্ছিল তারা। যেখান থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে, সেখান থেকেই এই প্রশিক্ষণের নানা প্রমাণও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
গোয়েন্দা সূত্র বলছে, এই গ্রেফতারি সঠিক সময়ে হয়েছে। কারণ সন্দেহভাজন জঙ্গি দলটি এই নাশকতার ছকের প্রাথমিক পর্যায়ে ছিল। আর এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই চাবাড হাউজের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করা হয়েছে। এমনকী সেখানে মক ড্রিলও করেছে পুলিশ। ২৬/১১ মুম্বই হামলার ১০ বছর পূর্তিতে এই চাবাড হাউজের নামকরণ করা হয়েছে ‘নরিম্যান লাইটহাউজ’।