অন্য দিকে অন্ধ্রপ্রদেশেও একই অবস্থা। রাজ্য জুড়ে রয়েছে প্রায় ২০০টি ব্লাডব্যাঙ্ক, যা বছরে প্রায় আড়াই লক্ষ ইউনিট রক্ত সংগ্রহ করতে পারে। সে জায়গায় করোনার দ্বিতীয় ঢেউ রক্তদানের ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টি করছে। এক দিকে যেমন ডোনাররা সংক্রণের ভয়ে ভুগছেন, অন্য দিকে সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ার ভয়ে কোনও প্রকার স্বেচ্ছাসেবী রক্তদান শিবির করা সম্ভব হচ্ছে না। ফলস্বরূপ রক্তের ঘাটতির সমস্যা সামলাতে হচ্ছে রাজ্যকে। অন্ধ্রপ্রদেশে এই মুহূর্তে প্রায় ১০%-এর কম রক্ত সরবরাহ করা হচ্ছে। এমনটা চলতে থাকলে সামনের দিনগুলোতে কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে পড়তে হতে পারে দক্ষিণের এই দুই রাজ্যকে, বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, বিশেষ করে, যে করোনা রোগীরা জটিল রোগে ভুগছেন, যেমন ক্যান্সার, হাড়ের সমস্যা, কিডনিজনিত সমস্যায় ভুগছেন, তাঁদের বাঁচিয়ে তোলা অসম্ভব হতে পারে। তাই সময় থাকতে এই বিষয়ে নজর এখন থেকে রাখার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
advertisement