এই ঘটনা নবরাত্রির দিন রাত্রে ঘটেছে বলে জানানো হয়েছে, ওই দিন গোটা শহরজুড়ে গরবার আয়োজন করা হয়েছিল। সেই সময়েই এই অপরাধ সংগঠিত হয় বলে জানানো হয়েছে পুলিশের তরফ থেকে।
নির্যাতিতার বয়ান ইতিমধ্যেই রেকর্ড করা হয়েছে জানিয়েছে পুলিশ। এই প্রসঙ্গে লক্ষ্মীপুরের পুলিশ সুপারিনটেনডেন্ট রোহন আনন্দ জানিয়েছেন, রাতে ১১ টায় এই ঘটানটি ঘটে। ওইদিন নির্যাতিতা তাঁর ছোটবেলার এক বন্ধুর সঙ্গে রাতে বেরিয়েছিলেন। সেই সময়েই এই ঘটনা ঘটে।
advertisement
এই প্রসঙ্গে তিনি আরও জানান, ” বায়েল এলাকা থেকে মধ্যরাতে স্কুটি করে দুজনে ফেরার সময় তাঁদের পাঁচ জন মোটরসাইকেল করে ঘিরে ধরে। এরপরে একটি নির্জন এলাকায় নিয়ে যাওয়া হয় তাঁদের।”
এরপরেই পাঁচজনের সঙ্গে বচসা হওয়ায় ওই এলাকা থেকে দুজন চলে যায়। বাকি তিনজন অভিযুক্তের মধ্যে দুই ব্যক্তি নাবালিকাকে ধর্ষণ করে অপর এক ব্যক্তি পুরুষ বন্ধুকে ধরে রাখে।
আরও পড়ুন: মুহূর্তের মধ্যে ছড়াল আগুন, ঘুমের মধ্যেই পুড়ে মৃত্যু ৭ জনের! ভয়ঙ্কর ঘটনা
বিধ্বস্ত হয়ে মনোবল না হারিয়ে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ ফোন করেন ওই নির্যাতিতা। এই প্রসঙ্গে পুলিশ আধিকারিক জানান, ” অভিযুক্তরা এলাকা ছেড়ে চলে যাওয়ার পরেই পুলিশের কাছে এই বিষয়ে ফোন আসে। আমরা সঙ্গে সঙ্গেই সেই জায়গায় উপস্থিত হই। এলাকা ঘিরে ফেলা হয়। তথ্যপ্রমাণ সংগ্রহ করা হয়। ইতিমধ্যেই দল গঠন করে আমরা অভিযুক্তদের খোঁজ চলছে। আমরা সবকরমের চেষ্টা চালাচ্ছি।”
এই বছরই গুজরাত সরকারের পক্ষ থেকে গরবা উৎসব আয়োজন করার জন্য কোনও ধরনের সময়সীমা নির্দিষ্ট করা হয়নি। কিন্তু, শহরের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তার ভাঁজ গভীর হয়েছে প্রশাসনের।
আরও পড়ুন: ফের ভয়াবহ পথ দুর্ঘটনা! ট্রাক্টর উল্টে মৃত অন্তত ১, আহত বহু… চারিদিকে হাহাকার
এমনই আরও এক ঘটনা সামনে এসেছে মহারাষ্ট্রের পুণেতে। সেখানেও ২১-বছরের এক তরুণীকে এক নির্জন জায়গায় নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করা হয়। তাঁর পুরুষ বন্ধুকে পোশাক এবং বেল্ট দিয়ে বেঁধে রেখে অত্যাচার চালানো হয়।
একের পর এক এই ধরণের ঘটনা সামনে আসায় প্রশাসন এবং পুলিশের পক্ষ থেকে আরও কঠোর পদক্ষেপ করা হবে বলে জানানো হয়েছে।