এদিনের শুনানিতে সিনিয়র আইনজীবী বিকাশ সিং বলেন, অনেক লোককে বেআইনিভাবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল, যারা TET দেননি। অন্যদিকে যারা TET -এ ভালো নম্বর পেয়েছে তাদের সুযোগ দেওয়া হয়নি। ফলাফল ঘোষণা ছাড়াই যথেচ্ছ ও বেআইনিভাবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তদন্ত হচ্ছে সিবিআইয়ের।
আরও পড়ুন : অভিষেকের 'মাথায় গুলি' মন্তব্যের জের..., আদালতে মামলা করলেন সুকান্ত মজুমদার
advertisement
আইনজীবী বিকাশ সিং বলেন, সুপ্রিমকোর্টের সংবিধান বেঞ্চ হাইকোর্ট গুলিকে সিবিআই তদন্ত দেওয়ার অধিকার দিয়েছে। কিন্তু সে ক্ষেত্রে উপযুক্ত মামলা হওয়া উচিত। দেখা যাচ্ছে ছোটখাটো মামলাতেও সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। মামলা হওয়ার তিন বছর পর সরকার হলফনামা দেওয়ার পর শুনানি প্রথম দিনই সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। সেক্ষেত্রে আদালত ৩ বছর অপেক্ষা করেছে।
সিবিআই এর পক্ষে অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল বলেন, সিবিআই বেশ কয়েক মাস ধরে তদন্ত করছে। প্রচুর অনিয়ম পাওয়া গেছে। আদালতের উচিত সিবিআই তদন্ত চালু রাখা। আদালত জানতে চায় তদন্তে আর কত সময় লাগবে। অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল বললেন এ ব্যাপারে আমাকে সিবিআইয়ের কাছে জানতে হবে।
বিচারপতি বিরক্ত হয়ে বলেন আপনারা নির্দিষ্ট সময় বলুন না হলে বহু মামলায় কয়েক দশক ধরে তদন্ত করে সিবিআই। অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল জানান আগামী তিন মাসে তদন্ত শেষ করবে সিবিআই।
অন্যদিকে মানিক ভট্টাচার্যের আইনজীবী মুকুল রোহতগির অভিযোগ, এই মামলায় বিচারপতি মিডিয়ায় মুখ খুলেছেন। মানিক ভট্টাচার্য আদালতে নিজের যাবতীয় সম্পত্তির হিসেব দিয়েছেন ইতিমধ্যেই। রাজ্য পুলিশের তদন্তে আপত্তি কীসের? এদিন মানিক ভট্টাচার্যের রক্ষাকবচের মেয়াদ বাড়ানোর আর্জি জানালেন রোহতগি।
এরপর আদালত জানতে চায় মানিক ভট্টাচার্যের সম্পর্কিত কোন অনিয়ম পেয়েছে সিবিআই? অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল জানিয়ে দিলেন, শিক্ষক নিয়োগে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে। তদন্তকারী সংস্থার মতে মানিক ভট্টাচার্য হলেন কিং পিন। শীর্ষ আদালতে মানিক ভট্টাচার্যকে 'কিংপিন' বলে দাবি করল সিবিআই। সিবিআই এর পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, ৭.৫ লক্ষ টাকা প্রাথমিকে চাকরির জন্য অফার করা হয়েছে দালালদের মাধ্যমে।
সুপ্রিম কোর্ট এই প্রসঙ্গে বলে, প্রথম দিনের শুনানিতেই সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শীর্ষ আদালত জানতে চায় তাহলে কি এই মামলা অতীতের সম্পতলাল মামলার মতো? সিবিআইয়ের আইনজীবী উত্তরে জানান, সম্পতলাল মামলা সম্পূর্ণ ভিন্ন ছিল। সে ক্ষেত্রে এফআইআর পর্যন্ত হয়নি। মানিক ভট্টাচার্যের ক্ষেত্রে হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চে প্রাথমিক তদন্ত রিপোর্ট পেশ করা হয়েছে। তাতে মানিক ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে ব্যাপক দুর্নীতির বেশ কিছু প্রমাণ মিলেছে। সিবিআইয়ের আইনজীবীর দাবি, সুপ্রিম কোর্টকে ভুল তথ্য দিচ্ছেন মানিক ভট্টাচার্য।