সূত্রের খবর এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট দুদিনের মধ্যে বিস্তারিত তথ্য চেয়েছিল পর্ষদের থেকে। কিন্তু ২০১১ সাল থেকে নিয়োগ সম্পর্কিত যাবতীয় তথ্য দুদিনের মধ্যে দেওয়া সম্ভব নয় তা জানিয়েই ইনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট-এর থেকে সময় চেয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। সূত্রের খবর এই বিষয় নিয়ে ইতিমধ্যেই এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট-কে বিস্তারিত চিঠি দিয়েছে।
আরও পড়ুন : কর্মবিরতি ঘিরে তোলপাড় হাইকোর্ট! মঙ্গলেও আইনজীবীদের শোরগোল চরমে, উত্তপ্ত আদালত চত্বর
advertisement
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে ২০১১ সাল বা তার আগের নিয়োগ অন্য নিয়মে হত। মূলত সেই সময় প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগের নিয়োগ কর্তা ছিলেন বিভিন্ন জেলার ডিপিএসসির বা সংশ্লিষ্ট জেলার প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যানরা। তাই সে ক্ষেত্রে তথ্য পেতে অনেকটাই সময় লাগবে বলেই পর্ষদের তরফে চিঠি দিয়ে উল্লেখ করা হয়েছে।পর্ষদ সূত্রে খবর ২০১১ সালের পর থেকে দীর্ঘদিন বিভিন্ন জেলার প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষা সংসদের তরফেই এই নিয়োগ প্রক্রিয়া হত।ফলত তাদের থেকে তথ্য পেতে অনেকটাই সময় লাগবে বলেই মনে করছেন পর্ষদের আধিকারিকরা।
যদিও প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তরফে বিভিন্ন জেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যানদের থেকে ২০১১ সালের পর থেকে নিয়োগ সংক্রান্ত তথ্য চাওয়া হয়েছে। দুদিনের মধ্যে তার তথ্য চাওয়া হলেও এখনো পর্যন্ত পর্ষদের কাছে কোন তথ্য এসে পৌঁছায়নি বিভিন্ন জেলার প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষা সংসদের অফিস গুলি থেকে। তার জেরে নিয়োগ সংক্রান্ত তথ্য তৈরি হতে যে অনেকটাই সময় লাগবে তা মনে করেছেন পর্ষদের আধিকারিকরা।
যদিও এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট-কে পাঠানো চিঠিতে নির্দিষ্ট কোন সময়সীমার উল্লেখ না করলেও ন্যূনতম যে এক থেকে দেড় মাস সময় লেগে যাবে গোটা নিয়োগ সংক্রান্ত তথ্য তৈরি হতে তা একপ্রকার ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে পর্ষদের তরফে পাঠানো চিঠিতে বলেই পর্ষদ সূত্রে খবর। যদিও এই বিষয় নিয়ে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের নয়া সভাপতি গৌতম পাল কোন প্রতিক্রিয়া দিতে চাননি। তবে পর্ষদের আধিকারিক দের দাবি বিস্তারিত তথ্য পর্ষদের হাতে এলেই তারা নিয়োগ সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য তুলে দেবেন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটকে।
আরও পড়ুন : 'প্রণয়' টানে বাংলাদেশে পাড়ি! ঠিক ১০ মাস পরে যা ঘটল 'নদিয়ার' নাবালিকার জীবনে
যদিও পর্ষদের তরফে এই চিঠি পাঠানোর পর এখনও পর্যন্ত তার কোন উত্তর ইডি-র থেকে পর্ষদের কাছে এসে পৌঁছয়নি বলেও জানা গেছে। অন্যদিকে ইতিমধ্যেই প্রাথমিকের টেট ও নিয়োগ প্রক্রিয়া দুই ই শুরু করছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। সেক্ষেত্রে এই নয়া নিয়োগ ও নয়া টেট নেওয়ার জন্য প্রস্তুতি পর্যায়ের ক্ষেত্রেও বেশ খানিকটা সময় লাগবে। সেক্ষেত্র ২০১১ থেকে নিয়োগ সংক্রান্ত তথ্য দিতেও খানিকটা সময় লেগে যাওয়া একটা অন্যতম কারণ বলেও মনে করছেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের আধিকারিকরা।
সোমরাজ বন্দ্যোপাধ্যায়