জানা যায় ১১ মার্চ, তামিলনাড়ুর একটি জঙ্গল থেকে বেরিয়ে আসে চার মাস বয়সি ওই পুরুষ হস্তী শাবকটি।জঙ্গলে যে কোন কারনেই হোক সে তার মায়ের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। মায়ের খোঁজেই সে জঙ্গল থেকে বেরিয়ে আসে লোকালয়ে। মায়ের খোঁজ করতে করতে সে বিভিন্ন ক্ষেত খামারে ঢুকে পড়তে থাকে। আর তার মাঝেই ঘটে যায় বিপত্তি, দুর্ঘটনাক্রমে একটি খামারের কূপে পড়ে যায় যায় সে।
advertisement
আরও পড়ুন- রাজধানী এক্সপ্রেসের সামনে পড়ল তিন ব্যক্তি! এক সেকেন্ডে যা ঘটল শুনলে আঁতকে উঠবেন
এরপর দমকল ও বনবিভাগকে খবর দেওয়া হলে হাতিটিকে উদ্ধার হয়। প্রায় ১৬ ঘণ্টার চেষ্টার পর তাকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়। মা হাতিটিকে শনাক্ত করা কঠিন হওয়ায় বনবিভাগ বাচ্চা হাতিটিকে হোগেনাক্কল বনের ওটারপট্টি বিভাগে রেখেছিল। বন বিভাগের পশুচিকিৎসকরা প্রাথমিকভাবে তার চিকিৎসার করার পর, শাবকটিকে বনবিভাগের এক কর্মী মহেন্দ্রান পরিচর্যা করেছিলেন বেশ কিছু দিন। তারপর, সম্প্রতি হাতিটিকে একটি বিশেষ গাড়িতে করে বনবিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশে ধর্মপুরী জেলার হোগেনাক্কল থেকে কৃষ্ণগিরি জেলার আনচেটি হয়ে মুদুমালাই পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া হয়েছিল মুদুমালাই হস্তী পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের উদ্দেশ্যে।
আরও পড়ুন- আন্তর্জাতিক নারী দিবস উদযাপনের আবহে এক ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত, ত্রিপুরার বড় খবর
বর্তমানে মুদুমালাইতে হাতি পরিচর্যাকারীদের তত্ত্বাবধানে এবং সাম্প্রতিক অস্কার বিজয়ী সংক্ষিপ্ত তথ্যচিত্রের সেনসেশন বোম্যান এবং বেলি উপজাতি দম্পতির তত্ত্বাবধানে হাতি শাবকটিকে মুদুমালাই হস্তী পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে লালন-পালন করা হবে। নিয়ে যাওয়ার আগের মুহূর্তে বনবিভাগের সেই কর্মী যে তাকে নিজের কাছে রেখে সেবা-শুশ্রূষা করেছিল সে প্রচন্ড কান্নায় ভেঙে পড়ে। এতদিন তার কাছে হাতিটি থাকায় সে তাকে ভীষণভাবে ভালবেসে ফেলেছিল। তাই হাতিটির বিদায় কালে তাঁর সেই হৃদয়বিদারক কান্না সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। তাঁর সেই কান্না দেখে চোখ ভিজেছে নেটিজেনদেরও।