আরও পড়ুন- ১২-১৪ বছরের ১ কোটি কিশোর কিশোরী পেল কোভিড টিকার প্রথম ডোজ: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
প্রায় দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে এই পরিষেবা দিয়ে এসেছেন কার্তিক। তাঁর দাবি, এখনও পর্যন্ত ১,০০০-এরও বেশিবার ভাড়া ছাড়াই গাড়ি চালিয়ে মানুষকে গন্তব্যে (Covid Lockdown) পৌঁছে দিয়েছেন তিনি৷ থেনির জেলা কালেক্টর যখন অটোচালক কার্তিকের এই মানবিক কাজের বিষয়ে জানতে পারেন, তখন ব্যক্তিগতভাবে তাঁর সঙ্গে আলাপ করতে যান এবং তাঁর প্রশংসাও করেন।
advertisement
আরও পড়ুন- মানুষে মানুষে বিভেদ চায় কাশ্মীর ফাইলস, কেন বাদ পড়ল রাজ্যপালের ভূমিকা: ইয়েচুরি
অবশ্য এখন আর্থিক সংকটের সম্মুখীন হয়েছেন কার্তিক এবং রাজ্য সরকারের কাছে সাহায্যের আবেদনও জানিয়েছেন। “আমি লোন নিয়েছিলাম এবং আমার স্ত্রীর ৩ লাখ টাকার গয়না বন্ধকও রেখেছিলাম। সংকটের সময়ে মানুষকে সাহায্য করার জন্য আমি যথাসাধ্য চেষ্টা করে যাচ্ছি। আমার তেমন কোনও রোজগার তো নেই, তবুও ভবিষ্যতে উপার্জনের আশায় বিনামূল্যে পরিষেবা প্রদান করেছি। অন্যান্য অটো চালকরা আমাকে নিয়ে ঠাট্টা করেছে, কিন্তু আমি আমার কাজ চালিয়ে যাচ্ছি,” বলেন কার্তিক।
বর্তমানে অটোর যাত্রীর সংখ্যা কমে গিয়েছে। সিটি বাসে বিনামূল্যে ভ্রমণের ঘোষণায় সমস্ত অটো চালক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন এবং আমি তাঁদের মধ্যেই একজন। আমি ১৭ মাসেরও বেশি সময় ধরে আমার অটোর বকেয়া শোধ করতে পারিনি, স্ত্রীর গয়নাও ফেরত পেতে পারিনি। এই ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যেও এবং জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির মধ্যেও আমি বয়স্ক ব্যক্তিদের হাসপাতালে যাওয়ার জন্য বিনামূল্যে পরিষেবা দিয়ে যাচ্ছি। আমি জনগণের জন্য কাজ চালিয়ে যেতে চাই এবং আমার আর্থিক সংকট থেকে বেরিয়ে আসতে আর্থিক সাহায্যের জন্য উন্মুখ। আমি তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রীর কাছে একটি দরখাস্ত জমা দেব এবং ব্যক্তিগতভাবে তাঁর সঙ্গে দেখা করার অনুমতি চাইব,” বলেন কার্তিক।