TRENDING:

বিক্ষুব্ধ কৃষকদের সঙ্গে কেন্দ্রের কথা ব্যর্থই, হ্যাঁ অথবা না, একটাই উত্তর চান প্রতিবাদীরা

Last Updated:

বিক্ষুব্ধ কৃষক নেতাদের বক্তব্য, সঙ্গে এক বছরের চাল মজুত রয়েছে. যতদিন অবস্থানে থাকতে হবে, তাঁরা থাকবেন, দাবি একটাই, এই কৃষি আইন বাতিল করতে হবে।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#নয়াদিল্লি: নয়া কৃষি বিল নিয়ে কৃষক আন্দোনের নেতাদের সঙ্গে কেন্দ্রের পঞ্চম বৈঠকও নিস্ফলা রইল। আরও একপ্রস্থ কথা হতে পারে ৯ ডিসেম্বর। তবে তার আগে ৮ ডিসেম্বর ভারত বনধে শক্তিপ্রদর্শন করতে চাইছেন কৃষকনেতারা। বিক্ষুব্ধ কৃষক নেতাদের বক্তব্য, সঙ্গে এক বছরের চাল মজুত রয়েছে. যতদিন অবস্থানে থাকতে হবে, তাঁরা থাকবেন, দাবি একটাই, এই কৃষি আইন বাতিল করতে হবে।
advertisement

এদিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমরের সঙ্গে বিজ্ঞান ভবনোএ দেখা করেন কৃষকনেতারা। ৪০ টি ইউনিয়নের নেতা ছিল সেই বৈঠকে। আলোচনা চলে প্রায় চারঘণ্টা। কৃকক নেতারা দাবি তোলেন, তিনটি আইনই বাতিল করতে হবে। কোনও ঐক্যমত প্রতিষ্ঠ না হওয়ায় তাঁরা মৌন প্রতিবাদ শুরু করেন। গায়ে প্ল্যাকার্ড বেঁধে ঘুরতে দেখা যায় ওই কৃষক নেতাদের, সেখানে লেখা-হ্যাঁ অথবা না।

advertisement

এদিনের বৈঠকে তোমরের সঙ্গে ছিলেন পীয়ুষ গোয়েল। তাঁরা কৃষকদের এদিনও ন্যূনতম সহায়ক মূল্য নিয়ে আশ্বস্ত করার চেষ্টা করেন। বলেন, এই মূল্য কখনও বাতিল হবে না। কৃষকরা এই বিষয়ে একমত না হওয়ায় বৈঠক ভেস্তে যায়। কেন্দ্র চেয়েছিল সোমবার পরবর্তী কথাবার্তা হোক। কৃষকরা রাজি হননি। ভারতবনধের কথায় মনে করিয়ে তাঁরা বৈঠকের দিন বুধবারে ঠেলে দেন।

advertisement

অল ইন্ডিয়া কিষাণ ফেডারেশনের নেতা কিরণজিৎ শেখন বলেন, কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা আমাদের দাবিদাওয়া নিয়ে কথাবার্তা বলবেন। তার পরে আদের সঙ্গে কথা হবে ৯ ডিসেম্বর।

দিল্লিতে এখনও পুরোদস্তুর রয়েছে করোনা। এদিকে দেখা নেই ভ্যাকসিনের। এই পরিস্থিতিতে এই জমায়েতে সংক্রমণের ঝুঁকি দেখছে কেন্দ্র। এদিন তোমর বলেন, ঠাণ্ডা আবহাওয়ার কথা মাথায় রেখে, কৃষকদের অনুরোধ করছি পরিবারের বয়স্ক এবং ছোট বাচ্চাদের বাড়ি পাঠিয়ে দিতে। আন্দোলন চত্বরের নিয়ম বজায় রাখতে। নরেন্দ্র মোদি সরকারের উপর তাঁরা ভরসা রাখতে পারেন।

advertisement

উত্তরে অবশ্য তাঁকেই এক হাত নিচ্ছেন ভারতীয কিষাণ ইউনিয়নের মাথা যোগীন্দর সিং। তিনি বলেন, "যদি সরকার আমাদের বাচ্চাদের স্বাস্থ্য নিয়ে এত ভাবিত হয়, তবে আমাদের দাবি তাঁরা মেনে নিচ্ছেন না কেন? আইন সংশোধনের অর্থ হল একটা পচা আপেলের পচা অংশটা ফেলে খেতে বাধ্য করা। এই আপেলটাই আমরা খেতে চাই না।" সূত্রের খবর সমস্যার সমাধানে বিশেষ অধিবেশন ডাকতে পারে কেন্দ্র। সেক্ষেত্রে আলোচনা হবে দাবিদাওয়াগুলি কতদূর পর্যন্ত মেনে নেওয়া যায় তাই নিয়ে।

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
পুরীর রথ এবার রঘুনাথপুরে, থিমে মন কাড়ছে আপার বেনিয়াসোলের দুর্গাপুজো মণ্ডপ
আরও দেখুন

এদিকে শনিবারও প্রতিবাদের জেরে দিল্লির বহু রাস্তা অবরুদ্ধ। সিঙ্ঘুই, লামপুর,আউচণ্ডী, সফিয়াবাদ, মানিয়ারি. সাবলি সীমান্তে গাড়ি চলাচল বন্ধ। বন্ধ রয়েছে ৪৪ নং জাতীয় সড়কও। ৮ ডিসেম্বরের আগে পরিস্থিতি আরও ঘোরালো হতে পারে মনে করছেন প্রশাসনিক কর্তারা।

বাংলা খবর/ খবর/দেশ/
বিক্ষুব্ধ কৃষকদের সঙ্গে কেন্দ্রের কথা ব্যর্থই, হ্যাঁ অথবা না, একটাই উত্তর চান প্রতিবাদীরা
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল