ইসরো-র স্পনসর করা গুরুত্বপূর্ণ এই প্রকল্পটি সঙ্গত কারণই দীর্ঘমেয়াদী মহাকাশযান মিশনে অংশগ্রহণে ভারতের সক্ষমতা প্রদর্শনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। ভারত ২০২৩ থেকে এমন একটি হিউম্যান স্পেস ফ্লাইট বানানোর চেষ্টা করবে, যা দীর্ঘমেয়াদী মনুষ্যবাহী মহাকাশ অভিযানের নিরিখে বিশ্বের চতুর্থ দেশ রূপে গণ্য হবে।
সুরাতে এসভিএনআইটি-র কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারদের একটি দল ব্যাখ্যা করেছেন যে কক্ষপথে বা একটি মহাকাশ স্টেশনে কয়েক টন জল নিয়ে যাওয়া অত্যন্ত ব্যয়বহুল। এই কারণেই জল পুনর্ব্যবহার করে যাতে কাজ চালানো যায় সেই বিষয়ে চেষ্টা করছেন বিজ্ঞানীরা।
advertisement
আরও পড়ুন : হাতে ফুলের তোড়া, সেনা উর্দির সঙ্গেই মাথায় ওড়না, ইউক্রেনের যুদ্ধক্ষেত্রে বিয়ে দুই সেনানীর
প্রধান গবেষক অলকা মুংরে (Alka Mungray) তাঁর স্বামী অরবিন্দ মুংরে (Arvind Mungray), শ্রীরাম সোনাওয়ানে (Shriram Sonawane) এবং আসফাক পটেলের (Asfak Patel) এই দলের উদ্দেশ্য একটি ব্রিফকেসের আকারের প্রস্রাব পুনর্ব্যবহারযোগ্য সিস্টেমের একটি প্রোটোটাইপ তৈরি করা।
এই সিস্টেমটি মহাকাশ অভিযানের সময় মানুষের প্রস্রাব থেকে পানীয় জল এবং ঘনীভূত পদার্থকে আলাদা করবে। সিস্টেমের কেন্দ্রস্থলে তাপ সংবেদনশীল ন্যানো পার্টিকেল বা ন্যানোফ্লুইড দিয়ে তৈরি তরল থাকবে। গবেষকরা গণনা করেছেন যে ৩০ মাসব্যাপী একটি মিশনের জন্য, প্রতিটি ক্রু সদস্যের একই সময়ের মধ্যে ১,৪৯৩ লিটার প্রস্রাব তৈরি করতে ২,২৫০ লিটার জল এবং ১,৩৫৯ কেজি খাবারের প্রয়োজন হবে।
অরবিন্দ মুংরে বলেছেন, এই প্রকল্পটি একটি ওয়াটার-সার্কেল চ্যালেঞ্জ এবং মহাকাশে বদ্ধ জীবনযাপনে সহায়ক ভূমিকা নেবে। তবে এখনও প্রস্রাব স্ট্রিমগুলি সম্পূর্ণরূপে পুনর্ব্যবহৃত হয়নি। অতএব বিজ্ঞানীদের আলোচনায় দেশীয় দল একটি উপায় প্রস্তাব করেছে যা তৈরি করা যন্ত্রটির সামগ্রিক ওজন, আকার এবং জটিলতা কমিয়ে দেবে। এটির আরও কম রক্ষণাবেক্ষণ এবং সামগ্রিক ভাবে কম খরচে নিয়ে আসাই তাঁদের লক্ষ্য।
আরও পড়ুন : পাতলা ভুরুর জন্য ভরসা কাজলপেন্সিল? ঘরোয়া টোটকায় নিমেষে ঘন করুন ভ্রুপল্লব
মানুষের প্রস্রাবে প্রায় ৯৫% জল থাকে এবং বাকি ৫% সর্বাধিক ইউরিয়া-সহ মাইক্রো এবং ম্যাক্রোনিউট্রিয়েন্ট থাকে। এই ডিওয়াটারিং পদ্ধতি মহাকাশচারীদের জলের চাহিদার ৬০%-এর বেশি সরবরাহ করতে পারে।