তিনি আরও বলেন, ‘‘সাংসদরা যদি কোনও ইস্যু নিয়ে প্রতিবাদ করতে চান বা বিরোধ করতে চান তার একটা পদ্ধতি আছে। আমরা তো দেখেছি সংসদের অভ্যন্তরে কিভাবে অটল বিহারী বাজপেয়ী প্রতিবাদ করেছেন। কিন্তু তিনি কখনোই অভব্য আচরণ করেননি। যুগোপযোগী আইন তৈরির জন্য যদি অন্যায়ভাবে বাধা দেওয়া হয় তাহলে তো স্পিকার সাসপেন্ড করবেনই। স্পিকার কোনও রকম ভুল করেননি।’’
advertisement
আরও পড়ুন – IPL 2024 Auction: রাত পোহালেই মেগা অকশন, শেষবেলায় অঙ্ক কষে কোন কোন মাছ ছিপে গাঁথতে চাইছেন গৌতম গম্ভীররা
সুকান্ত মজুমদার এও বলেন, ” পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় আমাদের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী হোক বা অন্যান্য বিজেপি বিধায়করা বললেই তাঁদের কণ্ঠরোধ করা হয়। তাঁরা কোনও রকম গণতন্ত্র বিরোধী আচরণ না করলেও তাঁদের সাসপেন্ড করা হয়। আর রাজ্যসভা কিম্বা লোকসভার অন্দরে যেভাবে তৃণমূল কংগ্রেস এবং অন্যান্য বিরোধী শিবিরের সাংসদরা হই হট্টগোল করলেন তা নজিরবিহীন।’’
আর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাসপেনশনের পর বলেছিলেন, ‘বিল পাস করানোর জন্যই বিরোধীদের সাসপেন্ড করা হয়েছে।’ এ প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার সাংবাদিক সম্মেলন করে বললেন,’ বিল তো এমনিতেই পাস হবে। সংসদে বিরোধীদের সেই শক্তি আছে নাকি যে বিল পাস করা আটকাবে।’ প্রসঙ্গত, সংসদের ইতিহাসে একইসঙ্গে বিপুল পরিমাণ বিরোধী শিবিরের সাংসদদের সাসপেন্ড করার নজির আছে কিনা তা মনে করতে পারছেন না রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরাও। নিজের দল ও বিরোধী দলের সাংসদদের এই ভাবে সাসপেন্ড করার ঘটনার তীব্র নিন্দা করে কেন্দ্রের তুমুল ভর্ৎসনা করেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘সৌগত রায় টপ সিনিয়র লিডার। তাঁকেও রেহাই দেওয়া হয়নি। সবাইকে সাসপেন্ড করল। এভাবে পুরো হাউজ সাসপেন্ড করার কারণ হল, বিরোধীরা বিভিন্ন ইস্যুতে যাতে সরব হতে না পারে। আমাদের লড়াই জারি থাকবে। বিজেপি ভয় পেয়েছে।’
Venkateshwar Lahiri