দেশে মাঙ্কিপক্স ঘিরে পরিস্থিতি ক্রমেই জটিল হচ্ছে৷ দিল্লিতে ৩৪ বছর বয়সি এক যুবকের দেহে পাওয়া গিয়েছে এই ছোঁয়াচে রোগের জীবাণু৷ এই নিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছল চারে৷ অতিমারি বিশেষজ্ঞ এবং ছোঁয়াচে রোগ বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন মাঙ্কিপক্স কোনও নতুন জীবাণু নয়৷ গত পাঁচ দশক ধরে বিশ্বে এই জীবাণুর খবর পাওয়া গিয়েছে৷ কেরালাতেও মাঙ্কিপক্স আক্রান্তের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে৷ সাধারণত মাঙ্কিপক্সের ক্ষেত্রে ত্বকের জন্য লোশন ও জ্বর কমানোর জন্য জ্বরের ওষুধ দেওয়া হচ্ছে৷ যদি তার সঙ্গে রক্তের কোনও সংক্রমণ দেখা দেয় বা রোগী ভাইরাল নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হন, তাহলে উপযুক্ত ওষুধ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা৷
advertisement
আরও পড়ুন: ED-র র্যাডারেই ছিল অর্পিতা, আগেও হয়েছে জেরা! এরপরও ঘরে কীভাবে এত টাকা? ভাবাচ্ছে গোয়েন্দাদের
ইতিমধ্যেই রাজ্যগুলিকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রের তরফে। অন্যদিকে, দিল্লিতে প্রথম মাঙ্কিপক্স সংক্রমণ ধরা পড়ল রবিবার৷ আক্রান্ত ৩১ বছর বয়সি ব্যক্তি যাঁর বিদেশ ভ্রমণের কোনও ইতিহাস নেই৷ এটি ভারতে চতুর্থ মাঙ্কিপক্স কেস৷ আগের তিন আক্রান্তই কেরালার৷ সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, ওই ব্যক্তি হিমাচল প্রদেশের মানালিতে একটি পার্টিতে যোগ দিয়েছিলেন। পশ্চিম দিল্লির এই বাসিন্দাকে তিন দিন আগে রোগের লক্ষণ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়৷ শনিবার তাঁর নমুনাগুলি জাতীয় ভাইরোলজি ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়।
প্রথম দুই মাঙ্কিপক্স আক্রান্তের মতো তৃতীয় আক্রান্তও কেরলের বাসিন্দা।কেরলের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বীণা গর্গ জানিয়েছেন, আক্রান্ত ব্যক্তি ৬ জুলাই সংযুক্ত আরব আমিরশাহি থেকে মালাপ্পুরমে ফেরেন। মাঙ্কিপক্স-এর উপসর্গ নিয়ে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি হন। বর্তমানে সেখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন, তাঁর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। মন্ত্রী এও জানান, ব্যক্তির সংস্পর্শে যাঁরা এসেছেন, তাঁদেরও পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন: 'জয় জগন্নাথ', পুজোয় মেতে মদন মিত্র! পার্থ-আবহে নতুন পরামর্শ নেটিজেনদের
১৪ জুলাই ভারতে প্রথম মাঙ্কিপক্স আক্রান্তের খোঁজ মেলে। সংযুক্ত আরব আমিরশাহী থেকে ভারতে ফেরা বছর ৩৫-এর এক ব্যক্তির শরীরে মাঙ্কিপক্সের লক্ষণ দেখা যায়। তাঁকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রোগীর নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য জাতীয় ভাইরোলজি ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়েছিল, রিপোর্ট পজিটিভ আসে। জানা যায়, বিদেশে তিনি মাঙ্কি পক্স সংক্রমিত রোগীর সংস্পর্শে এসেছিলেন। বর্তমানে ১৬টি ল্যাবরেটরি মাঙ্কিপক্স শণাক্তের কাজ করছে, এর মধ্যে দুটি শুধুমাত্র কেরালার।