ইদের মাত্র দু’দিন আগে ইফতার পার্টিতে যাওয়ার ঠিক আগের মুহূর্তে সন্ত্রাসবাদীদের গুলিতে ঝাঁঝড়া হয়ে গিয়েছিল তাঁর শরীর ৷ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যের সময় নিজের ‘রাইজিং কাশ্মীর’ সংবাদপত্রের দফতরের সামনেই গুলি করে হত্যা করা হয় সাংবাদিক সুজাত বুখারিকে ৷ ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয় তাঁর পাহারায় থাকা ব্যক্তিগত দেহরক্ষীরও (পিএসও)।
সেই ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ আগেই পৌঁছেছিল পুলিশের হাতে ৷ সেই ফুটেজে দেখা গিয়েছে, একটি বাইকে রয়েছে তিন আরোহী ৷ চালকের মাথায় কালো হেলমেট ৷ বাকিদের মুখ ঢাকা মাস্কে ৷ এরমধ্যে একজন ব্যাগের মধ্যে কিছু একটা আড়াল করে রেখেছে ৷ পুলিশের অনুমান, সম্ভবত ব্যাগের মধ্যে বন্দুক লুকাচ্ছিল ওই ব্যক্তি ৷ ওই বন্দুকের গুলিতেই প্রাণ যায় সুজাতের ৷ শুক্রবার সিসিটিভি ফুটেজের কয়েকটি ছবি ট্যুইট করে শ্রীনগর পুলিশ ৷ ছবি দেখে দুষ্কৃতিদের শনাক্ত করতে সাধারণ মানুষের কাছেও আর্জি জানানো হয়েছে ৷
advertisement
আরও পড়ুন: সুজাত বুখারি ও ঔরঙ্গজেব, দু'জনেরই সার্জিক্যাল স্ট্রাইকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল
পুলিশ ও ইন্টেলিজেন্ট ব্যুরোর আধিকারিকদের মতে, প্রবীণ সাংবাদিক সুজাত বুখারিকে হত্যার মাধ্যমে সরকারপন্থী শক্তিকে বড়সড় আঘাত দিতে চেয়েছে বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনগুলি ৷ পাশাপাশি রমজান মাসের যুদ্ধ বিরতির মধ্যেই প্রথমে সেনা জওয়ান, পরে সাংবাদিক হত্যা করে কাশ্মীরের শান্তি প্রক্রিয়াকে আরও খানিকটা ব্যাকফুটে পাঠানোর চেষ্টা করেছে বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীগুলি ৷ পাশাপাশি এই হত্যার পিছনে লস্কর-ই-তৈবা ও হিজবুল মুজাহিদিনের যোগসাজশের সম্ভাবনার কথাও উড়িয়ে দিচ্ছে না তদন্তকারী অধিকারিকরা ৷
আরও পড়ুন: সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেল বাইকে চড়ে তিনজন এসেছিল বুখারিকে খুন করতে
প্রাথমিক তদন্তের পর মনে করা হচ্ছে, পূর্বপরিকল্পিতভাবেই খুন করা হয়েছে ‘রাইজিং কাশ্মীর’-এর সম্পাদককে ৷ আইবি সূত্রের খবর, একজন হত্যাকারী যে বুখারিকে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছিল, সে সম্ভবত পাকিস্তানি লস্করের লোক নাভিদ জাট। এর আগে শ্রীনগরের হাসপাতাল থেকে পালিয়ে গিয়েছিল নাভিদ। মনে করা হচ্ছে সেই নাভিদই এখন লস্কর আর হিজবুলের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে ৷ এবং বুখারি হত্যার পিছনে প্রধান ভূমিকা রয়েছে এই নাভিদেরই ৷
সিসিটিভি ফুটেজে বাইকের তিন আরোহীর মধ্যে সম্ভবত মাঝের জন নাভিদ ৷ গুলিটা সেই-ই চালিয়েছিল বলে পুলিশের অনুমান ৷