মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এ কাছে সুস্মিতা পণ করেছেন, ত্রিপুরা (Tripura Politics) তিনি বিজেপির থেকে ছিনিয়ে আনবেন। প্রসঙ্গত, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ত্রিপুরার মিছিলে শিলচর,কাছাড়, বরাক থেকে সুস্মিতা লোক নিয়ে আসছেন বলে অভিযোগ করেছে বিজেপি। আর তারই জবাব দিতে গিয়ে সুস্মিতা দেব জানিয়েছেন, "আমার সঙ্গে ত্রিপুরার যোগ, বিজেপির একাধিক নেতার চেয়ে অনেক বেশি আছে। আমি আমার বাবার সাথে বহুবার এখানে এসেছি। বাবার সূত্র ধরে আমার যোগাযোগ আছে এখানের মানুষের সাথে। রাজ্যের মানুষ আমাকে চেনেন।"
advertisement
আরও পড়ুন-সুস্মিতা দেবকে রাজ্যসভায় মনোনীত করল তৃণমূল, নেপথ্য এই দুই কারণ
ভিন রাজ্য থেকে মানে আসাম থেকে লোক নিয়ে আসার অভিযোগ করেছে বিজেপি। সুস্মিতার বক্তব্য, "ত্রিপুরার বিজেপি আগে বরাক বিজেপির সাথে তাদের যোগাযোগ ঠিক করে রাখুক। বিজেপি একদিকে বলছে আমার সাথে কেউ নেই৷ আবার অন্যদিকে বলছে আমি লোক নিয়ে আসছি। এটা কি করে সম্ভব হয়? আসলে ওরা যে মিথ্যা কথা বলছে তা প্রমাণিত।"
এরই মধ্যে অবশ্য সুস্মিতাকে রাজ্যসভায় প্রার্থী (Sushmita dev rajya sabha) করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। কেন সুস্মিতাকে দলে টানতে তৎপরতা বাড়িয়েছে বাংলার শাসক দল? রাজনৈতিক মহল বলছে, সুস্মিতার দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক জ্ঞান। কংগ্রেসের সর্বভারতীয় মহিলা সংগঠনের শীর্ষে থেকেও দায়িত্ব সামলেছেন তিনি। তাছাড়াও সন্তোষ দেবের কন্যা হিসেবেও দেশের রাজনীতিতে সুস্মিতার একটা গ্রহণযোগ্যতা তৈরি হয়েছে। সর্বোপরি, মহিলা মুখ হিসেবে অসম ও ত্রিপুরায় সুস্মিতা দেবই হতে পারেন তৃণমূলের ট্রাম্প কার্ড। এ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে 'বাংলা নিজের মেয়েকে চায়' স্লোগানে ভর করে তৃতীয় বারের মতো ক্ষমতায় এসেছে তৃণমূল। এই পরিস্থিতিতে অসম ও ত্রিপুরায় একজন মহিলাকে সামনে রেখে এগোলে ডিভিডেন্ট মিলতে পারে বলে মনে করছেন তৃণমূল নেতৃত্ব।
অন্য দিকে, সুস্মিতার দলত্যাগে বিড়ম্বনায় পড়েছে কংগ্রেসে। সুস্মিতা দেবের পদত্যাগ প্রসঙ্গে কংগ্রেস মুখপাত্র রণদীপ সিং সুরজেওয়ালার বক্তব্য, "সুস্মিতা ভালো মানুষ। ভালো রাজনীতিক। তিনি কেন আচমকা দল ছাড়লেন তা আমাদের জানা ছিল না।"
কিন্তু কংগ্রেসের 'বিদ্রোহী' নেতা কপিল সিব্বল রীতিমতো দলীয় নেতৃত্বকেই নিশানা করেছিলেন। সনিয়াকে লেখা চিঠিতে সুস্মিতা জানিয়েছিলেন, ‘জাতীয় কংগ্রেসের সঙ্গে তিন দশকের সম্পর্ক শেষ করছি। আমার পাশে থাকার জন্য সতীর্থ ও দলের নেতা-মন্ত্রীদের ধন্যবাদ। তিন দশকের স্মৃতি আমি সারা জীবন মনে রাখব।’ এ ছাড়া পথ প্রদর্শন ও সহযোগিতার জন্য সনিয়াকেও ধন্যবাদ জানিয়েছেন সুস্মিতা।