তবে আবেদনকারী ৬১ বছর বয়সি ওই মহিলাকে রক্ষাকবচ দিলেও একই সঙ্গে পঞ্জাব সরকারকে বিষয়টি নিয়ে জবাব দিতে চার সপ্তাহ সময় দিয়েছে শীর্ষ আদালত৷ আূবেদনকারী ওই মহিলার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ আনেন তাঁরই পুত্রবধূ৷
বিচারপতি ঋষিকেশ রায় এবং সঞ্জয় কারোলের ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলাটি ওঠে৷ আবেনকারী মহিলাকে চার সপ্তাহ গ্রেফতার করা যাবে না বলে নির্দেশ দেয় আদালত৷ একই সঙ্গে তদন্তে সহযোগিতার জন্যও তাঁকে নির্দেশ দিয়েছে আদালত৷
advertisement
আরও পড়ুন: বিধানসভায় এসে তদন্ত, মাপজোক! বিজেপি বিধায়কদের বিরুদ্ধে অভিযোগে তৎপর পুলিশ
ওই মহিলার হয়ে করা আবেদনে তাঁর আইনজীবী জানান, মহিলার বিরুদ্ধে যে ধারাগুলিতে মামলা হয়েছে তার মধ্যে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬(২) ধারায় আনা বারংবার ধর্ষণের অভিযোগটিই জামিন অযোগ্য৷ ওই ধারায় দোষী সাব্যস্ত হলে ন্যূনতম দশ বছরের জেল, এমন কি যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের শাস্তিও হতে পারে৷ সুপ্রিম কোর্টেরই নির্দেশ উল্লেখ করে আবেদনকারীর আইনজীবী দাবি করেন, একজন মহিলার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ আনা যায় না৷
জানা গিয়েছে, বিধবা ওই মহিলার পুত্রবধূর সঙ্গে তাঁর আমেরিকা নিবাসী ছেলের সম্পর্ক ছিল৷ কিন্তু কখনওই দু জনের দেখা হয়নি৷ এফআইআর অনুযায়ী, ভার্চুয়াল বিয়ের পর অভিযোগকারিণী মহিলার পুত্রবধূর হিসেবে তাঁর সঙ্গেই থাকতে শুরু করেন৷
এর কিছুদিন পরে ওই বৃদ্ধার ছোট ছেলে পর্তুগাল থেকে ফেরেন৷ ওই বৃদ্ধার দাবি, ছোট ছেলে ফিরে আসতেই তাঁর পুত্রবধূ বড় ছেলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করতে চান৷ উল্টে বড় ছেলের ওই পুত্রবধূ বৃদ্ধার ছোট ছেলের সঙ্গে পর্তুগালে যেতে জেদ ধরেন৷
এই নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে বিবাদ শুরু হয়৷ শেষ পর্যন্ত মীমাংসা করতে ওই বৃদ্ধা তাঁর পুত্রবধূকে ১১ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেন৷ এর পরেও অভিযোগকারিণী স্থানীয় থানায় গিয়ে ওই বৃদ্ধা এবং তাঁর ছেলের বিরুদ্ধে ধর্ষণ সহ একাধিক ধারায় মামলা করে৷