প্রধান বিচারপতি বলেন, 'স্ট্যাটাস রিপোর্টে কিছুই নেই৷ শুধু বলা হয়েছে আরও কয়েকজন সাক্ষীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে৷ আমরা দশদিন সময় দিয়েছিলাম৷ এখনও ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষার রিপোর্ট আসেনি৷ প্রত্যাশিত গতিতে কিছুই হচ্ছে না৷' যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath) সরকারকে এ দিন সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছে, নতুন স্ট্যাটাস রিপোর্টে কাদের এখনও পয়র্যন্ত গ্রেফতার করা হয়েছে এবং কী অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে, তা জানাতে হবে৷
advertisement
আরও পড়ুন: ফিরছে পুরনো দিন? উপলক্ষ আদবাণীর জন্মদিন, নরেন্দ্র মোদির চমক!
সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিরা এ দিন রাখঢাক না করেই বলেছেন, লখিমপুর কাণ্ডে (Lakhimpur Kheri Incident)অভিযুক্ত কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর ছেলে আশিস মিত্রকে বাঁচানোর স্বার্থেই দু'টি পৃথক এফআইআর করা হয়৷ লখিমপুর কাণ্ডে কৃষক এবং বাকিদের মৃত্যুর ঘটনার তদন্ত আলাদা ভাবে না করে একসঙ্গে করা উচিত বলেও জানিয়েছে শীর্ষ আদালত৷
গত ৩ অক্টোবর লখিমপুর খেরিতে হিংসার ঘটনায় সবমিলিয়ে আট জনের মৃত্যু হয়৷ প্রথমে গাড়ি চাপা পড়ে চার কৃষকের মৃত্যুর পর হিংসার জেরে আরও বেশ কয়েকজন মারা যান৷ ওই ঘটনায় নিহত বিজেপি কর্মীদের পরিবারের আবেদনের ভিত্তিতে চার কৃষক বাদে বাকিদের মৃত্যুর ঘটনায় পৃথক রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট৷ গত ১১ অক্টোবর ঘটনায় অন্যতম মূল অভিয়ুক্ত আশিস মিশ্রকে গ্রেফতার করে পুলিশ৷
আরও পড়ুন: কাশ্মীর-শারজা উড়ানকে আকাশসীমা ছাড়বে না পাকিস্তান, ক্ষোভে ফুঁসছে উপত্যকা...
মামলার অন্যতম বিচারপতি সূর্য কান্তও বলেন, 'দুঃখজনক হলেও আমরা বলতে বাধ্য হচ্ছি, প্রাথমিক ভাবে মনে হচ্ছে নির্দিষ্ট একজন অভিযুক্তকে সুবিধে করে দিতেই দু'টি পরস্পর বিরোধী এফআইআর দায়ের করা হয়েছে৷'
যদিও উত্তর প্রদেশ সরকারের হয়ে সওয়াল করতে গিয়ে হরিশ সালভে যুক্তি দেন, আলাদা করে তদন্ত রার জন্যই দু'টি পৃথক এফআইআর দায়ের করা হয়েছে৷ তিনি আরও যুক্তি দেন, লখিনপুর খেরির হিংসায় নিহত সাংবাদিক রামন কাশ্যপকে নিয়ে বিভ্রান্তির জেরেই দু'টি এফআইআর দায়ের করতে হয়৷ কারণ তিনি আশিস মিশ্রের সঙ্গে ছিলেন নাকি ছিলেন না, ঘটনার পর তা স্পষ্ট হয়নি৷