শীর্ষ আদালতের বিচারপতি সূর্যকান্ত বলেন, ‘সেভেন স্টারে বসে থাকা লোকেরা কৃষকদের ওপর দায় ঠেলতে চাইছে। তারা কি কৃষকদের জমি প্রতি আয় দেখেছে?’ দূষণ মামলার পরবর্তী শুনানি হবে আগামী মঙ্গলবার।
অন্যদিকে, এদিনই দিল্লি সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত রাজধানীর স্কুল, কলেজ বন্ধ থাকবে। রবিবার পর্যন্ত নির্মাণ কার্যও বন্ধ থাকবে। এদিনের শুনানিতে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা বলেন, ''নাড়া পোড়ানো নিয়ে আমার বক্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা করা হয়েছে সংবাদ মাধ্যমে। বলা হচ্ছে, ‘বায়ু দূষণে নাড়া পোড়ানোর যোগদান কম বলে আদালতকে নাকি আমি ভুল পথে পরিচালিত করেছি।''
advertisement
আরও পড়ুন: বিধানসভায় শোরগোল ফেললেন দিলীপ ঘোষ! সব নজর ঘুরে গেল ফিরহাদ-মলয়ের ঘরের দিকে
আরও পড়ুন: BJP-র অন্দরে বিড়ম্বনা বাড়ল শুভেন্দু অধিকারীর, এবার পদত্যাগ হাওড়া জেলা সম্পাদকের!
প্রধান বিচারপতি এনভি রমনা জানান, ''এমন কথা শুনতেই হয়। এতে গুরুত্ব দিলে চলবে না।'' তুষার মেহতা আদালতে জানান, নাড়া পোড়ানোর অবদান কম বায়ুদূষণে। কিন্তু গত ২ মাসে এর প্রভাব অনেক বেশি। অন্য দিকে দিল্লি সরকারের তরফে আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি আদালতে বলেন, ''কেন্দ্র প্রথমে বলেছিল দূষণের জন্য কৃষকদের ফসলের আগাছা পোড়ানো ৩৫- ৪০ শতাংশ দায়ী। যা সংবাদ মাধ্যমেও প্রকাশিত হয়েছে। কেন্দ্র গোটা বছরের কথা বলছে। আমরা ২ মাসের কথা বলছি।'' তিন বিচারপতির বেঞ্চ মন্তব্য করে, ''আমাদের এটাই বলার, বায়ু দূষণের জন্য কেবল কৃষকদের কাঠগড়ায় তুলবেন না।'' অন্যদিকে, দিল্লির দূষণ নিয়ে কৃষকদের দোষারোপের পালা চলছে। তা নিয়ে ক্ষোভ ব্যক্ত করেছে আদালত। বলেছে, ‘অন্য কিছুর চেয়ে টিভি বিতর্ক দূষণ বেশি ছড়ায়। সকলেই নিজেদের এজেন্ডা চালাচ্ছে। আমরা কেবল সমস্যার সমাধানের চেষ্টা করছি।’