একদিকে তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ সুস্মিতা দেব সুপ্রিম কোর্টের এদিনের নির্দেশকে স্বাগত জানিয়েছেন। বিজেপি’র উদ্দেশে তাঁর হুঁশিয়ারি, আদালতের নির্দেশ অমান্য করা হলে আবার আদালতের দ্বারস্থ হবে তৃণমূল। তাঁর কথায়, ‘ভারতের একটি রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টকে হস্তক্ষেপ করতে হল, এ তো লজ্জার। তবে, এটা তৃণমূল তথা ত্রিপুরার জয়।’
আরও পড়ুন: কেন্দ্রীয় জওয়ানরা সশরীরে হাজিরা দিক, শীতলকুচি-কাণ্ডে তদন্ত শেষের রিপোর্ট CID-র
advertisement
অন্যদিকে, ত্রিপুরা রাজ্য বিজেপি’র মুখপাত্র নব্যেন্দু ভট্টাচার্য বলেছেন, ‘ত্রিপুরার আইন-শৃঙ্খলায় কোনও সমস্যা নেই। আদালতের নির্দেশ নিয়ে যাঁরা উন্মাদনা করছেন, তাঁরা করে যান।’
আরও পড়ুন: মামলার গেরোয় রামায়ণ নিয়ে ত্রিপুরায় কুণাল, তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে কোর্টে শুভেন্দুর ভাইও
উল্লেখ্য, সুস্মিতা দেব ত্রিপুরায় তৃণমূল কর্মীদের বাধা দেওয়ার তথ্য, প্রমাণ-সহ সুপ্রিম কোর্টে আর্জি জানিয়ে শান্তি-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে বিশেষ তদন্তকারী দল গঠনের আবেদন জানিয়ে ছিলেন। এদিনের নির্দেশে বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি সূর্যকান্ত এবং বিচারপতি বিক্রম নাথের বেঞ্চ স্পষ্ট জানিয়েছে, প্রতিটি দলেরই রাজনৈতিক প্রচারের অধিকার আছে। তারা যাতে শান্তিপূর্ণ ভাবে প্রচার করতে পারে তা নিশ্চিত করতে হবে রাজ্য সরকারকেই। রাজ্যের স্বরাষ্ট্র সচিব এবং ডিজিপিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তাঁরা হলফনামা দিয়ে আদালতের নির্দেশ পালন হচ্ছে কিনা তা জানাবেন। নির্দেশে বলা হয়েছে, আবেদনে করা অভিযোগের ক্ষেত্রে আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে যেন পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেওয়া হয়। কোনও ব্যক্তি বিশেষের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট পুলিশ সুপারকে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: শুভেন্দু-বিরোধিতা মানেই বহিষ্কার! রাজ্য BJP-র অন্দরে ঝড়, অশনিসংকেত দেখছেন অনেকেই
প্রসঙ্গত, ২৫ নভেম্বর ত্রিপুরায় পুরভোট। সেই নির্বাচনে ইতিমধ্যেই মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার কাজ শেষ। বিজেপি ৩৪ শতাংশ আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছে। পাশাপাশি ১৬ জন প্রার্থী তাঁদের মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছেন। অভিযোগ, বিজেপি’র হুমকির জেরেই এই মনোনয়ন প্রত্যাহার। ৩৩৪ টি আসনের মধ্যে তৃণমূল প্রার্থী দিয়েছে ১২৫ টি আসনে। শতাংশের নিরিখে যা ৩৮ শতাংশের কম। তৃণমূলের অভিযোগ বিজেপির বাধার জেরেই প্রার্থী দেওয়া যায়নি।
