সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি বি আর গাভাই এবং বিচারপতি এ জি মাসিহ এ দিন এই নির্দেশ দিয়েছেন৷ এর পাশাপাশি শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, রাজ্য ওয়াকফ বোর্ডে তিন জন অ-মুসলিম এবং কেন্দ্রীয় ওয়াকফ বোর্ডে চারজনের বেশি অ-মুসলিম সদস্য থাকতে পারবেন না৷ যদিও মামলাকারীদের আর্জি ছিল, কোনও অ-মুসলিমকেই ওয়াকফ বোর্ডে রাখা যাবে না৷
advertisement
সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি বি আর গাভাইয়ের বেঞ্চ এ দিন জানায়, মূলত সংশোধিত আইনের কয়েকটি অনুচ্ছেদ বা শর্তকে চ্যালেঞ্জ করেই মামলা দায়ের হয়েছিল৷ ফলে গোটা আইন বাতিল করার দাবি অর্থহীন৷
ওয়াকফ আইনের অনুচ্ছেদ ৩ (১) (আর)-এ পাঁচ বছর ইসলাম ধর্মাচারণের কথা বলা হয়েছিল৷ এর পাশাপাশি সংশোধিত ওয়াকফ আইনের ৩সি (২) অনুচ্ছেদের উপরে স্থগিতাদেশ জারি করা হয়েছে৷ এই অনুচ্ছেদে বলা হয়েছিল, কোনও সরকারি অফিসার যতক্ষণ না কোনও সম্পত্তি জবরদখল করা হয়নি বলে ছাড়পত্র দিচ্ছেন, ততক্ষণ সেটিকে ওয়াকফ সম্পত্তি বলে গণ্য করা যাবে না৷
পাশাপাশি সংশোধিত আইনের ৩সি (৩) নম্বর অনুচ্ছেদে সরকারি অফিসারকে কোনও ওয়াকফ সম্পত্তি সরকারি সম্পত্তি কি না তা নির্ধারণ করার যে ক্ষমতা দেওয়া হয়েছিল, সেই শর্তের উপরেও স্থগিতাদেশ জারি করেছে শীর্ষ আদালত৷ অনুচ্ছেদ ৩সি (৪)-এর উপরেও স্থগিতাদেশ জারি করা হয়েছে৷ এই অনুচ্ছেদে বলা হয়েছিল, কোনও সম্পত্তি নিয়ে সরকারি অফিসারের রিপোর্ট পাওয়ার পর ওয়াকফ বোর্ডকে নিজেদের রেকর্ড সংশোধন করার জন্য নির্দেশ দিতে পারবে রাজ্য সরকার৷
সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, যতদিন না পর্যন্ত রাজ্য সরকারগুলি আইন প্রণয়নের জন্য বিধি তৈরি করছে, ততদিন পর্যন্ত এই অনুচ্ছেদগুলির উপরে স্থগিতাদেশ জারি থাকবে৷
