মধ্যপ্রদেশের নরসিংহপুর জেলা থেকে এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা সামনে এসেছে, যেখানে সোশ্যাল মিডিয়ার রিলস দেখে এক তরুণী তাঁর নিজের জামাইবাবুকে হত্যার পরিকল্পনা করেছিলেন। গল্পটি সিনেমার মতো শোনালেও বাস্তবতা আরও ভয়াবহ। সোমবার রাতে সিওনি জেলার যুবক সৃজন সাহুর মৃতদেহ প্রায় ৪০ কিলোমিটার দূরে ঘোগরা গ্রামের জঙ্গলে পাথরের নীচে চাপা পড়া অবস্থায় পাওয়া যায়। পুলিশ যখন এলাকায় তল্লাশি শুরু করে, তখন পুরো ঘটনাটি ধীরে ধীরে উন্মোচিত হয়।
advertisement
পুলিশের তদন্তে জানা গিয়েছে যে, অভিযুক্ত নিধি সাহু তাঁর দুই সহযোগী সাহিল এবং এক নাবালক ছেলের সহায়তায় এই অপরাধটি করেছেন। জানা গিয়েছে যে, সৃজনকে একটি গাড়িতে তুলে নিয়ে পেটে ছুরিকাঘাত করা হয়েছিল এবং তারপর তাঁর দেহ জঙ্গলে ফেলে দেওয়া হয়েছিল। নিধি ২৫ দিন আগে তাঁর জামাইবাবুকে হত্যার পরিকল্পনা করেছিলেন। তিনি সাহিল এবং এক নাবালককে ৫০,০০০ টাকা দিয়ে একটি হত্যার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। সবচেয়ে আশ্চর্যজনক বিষয় হল এই হত্যাকাণ্ডের অনুপ্রেরণা এসেছে সোশ্যাল মিডিয়ার রিলস থেকে।
জিজ্ঞাসাবাদের সময় নিধি জানান যে, তিনি মুসকান এবং সোনমের হত্যাকাণ্ডের রিলস দেখেছিল, যেখানে ড্রামে মৃতদেহ লুকিয়ে রাখার মতো দৃশ্য দেখানো হয়েছিল। তিনি সেই ভিডিওগুলি থেকে পুরো প্লটটি তৈরি করেছিলেন। পুলিশ জানিয়েছে যে, নিধির বাবা ইতিমধ্যেই একটি পূর্ববর্তী খুনের মামলায় জেল খাটছেন, যা পরিবারে অপরাধমূলক পটভূমির ইঙ্গিত দেয়।
আরও পড়ুনTerracotta : ঐতিহাসিক নিদর্শন, টেরাকোটার নিদর্শনে ভরপুর দাসপুরের প্রাচীন মন্দিরগুলি, দেখলেই মন ভরবে
পুলিশ তদন্তে আরও জানা গিয়েছে যে, সৃজন এবং নিধির মধ্যে বিয়ের আগে সম্পর্ক ছিল। বিয়ের পর যখন সৃজন পুরনো ছবি এবং ভিডিও ভাইরাল করার হুমকি দেয়, তখন নিধি বিরক্ত হয়ে তাঁকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। তিনি তাঁর বোনকে ছেড়ে দেওয়ার আর্জি জানানোর অজুহাতে জামাইবাবুকে গ্রামে ডেকে নিয়ে যান এবং তার পর হত্যা করে।
এসপি সন্দীপ ভুরিয়া জানিয়েছেন যে, অভিযুক্ত নিধি এবং দুই সঙ্গীকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ চলছে, এই মামলায় সোশ্যাল মিডিয়া কীভাবে ভূমিকা পালন করেছে তা নির্ধারণের জন্য মোবাইল ডেটাও পরীক্ষা করা হচ্ছে।
