ইলাহাবাদ হাইকোর্টের এই রায় সামনে আসতেই বিষয়টি নিজেদের নজরে আনে শীর্ষ আদালত৷ বিচারপতি বি আর গাভাই এবং অগাস্টিন জর্জ মাসিহর বেঞ্চে এই ঘটনার শুনানি হয় আজ, বুধবার৷
বিচারপতি গাভাই ইলাহাবাদ হাইকোর্টের রায়কে ‘অসংবেদনশীল’ বলে উল্লেখ করে জানান, ‘‘এটা অত্যন্ত গুরুতর একটা বিষয়৷ বিচারকের তরফে চূড়ান্ত অসংবেদনশীল আবেদন করা হয়েছে৷ বিষয়টি তলব করে ডেকে পাঠানোর পর্যায়ে ছিল আমরা দুঃখিত যে কোনও বিচারকের বিরুদ্ধে এত কড়া শব্দ আমাদের ব্যবহার করতে হচ্ছে৷’’
advertisement
এছাড়া, তিনি দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতিকেও এই ঘটনার প্রেক্ষিতে যথাযোগ্য ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন৷
২০২০ সালের ১০ নভেম্বরের একটি ঘটনার প্রেক্ষিতে গত ১৭ মার্চ একটি রায় দিয়েছিল ইলাহাবাদ হাইকোর্ট৷ দিদির বাড়ি থেকে ফেরার সময় গ্রামের দুই যুবক জোর করে এক নাবালিকাকে কালভার্টের নীচে নিয়ে গিয়ে তার পাজামার দড়ি খোলার চেষ্টা করেছিল৷ স্তন সহ শরীরের নানা অংশে হাতও দিয়েছিল অভিযুক্ত৷ কিন্তু, ওই নাবালিকার চিৎকার শুনে দু’জন ঘটনাস্থলে এসে পড়ে৷ তখন বন্দুক দেখিয়ে হুমকি দিয়ে এলাকা ছাড়ে অভিযুক্তেরা৷
ঘটনার পরে তাঁর গ্রামের পবন, আকাশ এবং অশোকের বিরুদ্ধে পকসো ধারায় ধর্ষণের অভিযোগ আনে মেয়েটির পরিবার৷
এদিন অভিযুক্তদের আনা একটি রিভিউ পিটিশনের প্রেক্ষিতে রায় দিতে গিয়ে গত ১৭ মার্চ ইলাহাবাদ হাইকোর্টের বিচারপতি রাম মনোহর নারায়ণ মিশ্রা জানিয়েছিলেন, ‘‘এই মামলায় অভিযুক্ত পবন এবং আকাশের বিরুদ্ধে অভিযোগ যে ওরা নির্যাতিতার স্তনে হাত দিয়েছিল, দড়ি টেনে ওর নিম্নাঙ্গ থেকে বস্ত্র খোলার চেষ্টা করেছিল৷ কিন্তু, তারা যে সত্যিই ওই নাবালিকাকে ধর্ষণ করতে চাইছিল এই বিষয়টি এখানে নিশ্চিত ভাবে প্রামাণ্য নয়৷’’ প্রত্যক্ষদর্শীরাও অভিযুক্তদের ওই কাজ করতে দেখেনি বলে রায়ে জানিয়েছিলেন ইলাহাবাদ হাইকোর্টের বিচারপতি৷
ইলাহাবাদ হাইকোর্টের এই রায় নিয়েই শুরু হয় ‘বিতর্ক’৷