জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত ওই আইনজীবীর নাম রাকেশ কিশোর৷ এ দিন প্রধান বিচারপতির কোর্টেই আচমকা জুতো তুলে বি আর গাভাইয়ের দিকে ছোড়ার চেষ্টা করেন ওই আইনজীবী৷ সঙ্গে সঙ্গেই অবশ্য সুপ্রিম কোর্টের নিরাপত্তারক্ষীরা তাঁকে নিরস্ত করেন৷ এর পর ওই আইনজীবীকে আদালত কক্ষের বাইরে নিয়ে যাওয়া হয়৷ সূত্রের খবর, আদালত কক্ষ থেকে বেরনোর সময় ওই আইনজীবী সনাতন ধর্মের অপমান সহ্য করব না বলে চিৎকার করতে থাকেন৷
advertisement
যদিও এই ঘটনার পরও আদালত কক্ষে বসেই যথারীতি কাজ চালিয়ে যান প্রধান বিচারপতি বি আর গাভাই৷ তিনি বলেন, এই ধরনের ঘটনা আমাকে বিচলিত করবে না৷ অন্যান্য আইনজীবীদের সওয়াল, জবাব চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেন তিনি৷
গত ১৬ সেপ্টেম্বর মধ্যপ্রদেশের খাজুরাহো মন্দির চত্বরের ভিতরে থাকা জাভরি মন্দিরে সাত ফুট লম্বা একটি বিষ্ণু মূর্তি পুনর্স্থাপনের আর্জি খারিজ করে দেয় সুপ্রিম কোর্ট৷ শুধুমাত্র মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্যই এই ধরনের আর্জি জানানো হয়েছে বলে মন্তব্য করে মামলাটি খারিজ করে দেন প্রধান বিচারপতি৷ মামলা খারিজ করতে গিয়ে প্রধান বিচারপতির করা একটি মন্তব্যকে কেন্দ্র করে বিতর্কও ছড়িয়েছিল৷ যদিও প্রধান বিচারপতি জানিয়ে দেন, তিনি সব ধর্মকেই সম্মান করেন৷ সম্ভবত সেই ঘটনার জেরেই এ দিন প্রধান বিচারপতির উপরে হামলার চেষ্টা করেন ওই আইনজীবী৷
তবে প্রধান বিচারপতি নিজে গুরুত্ব দিতে না চাইলেও অভিযুক্ত আইনজীবীর সদস্যপদ খারিজ করার কথা জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের বার অ্যাসোসিয়েশন৷ ২০১১ সাল থেকে বারের অস্থায়ী সদস্য হিসেবে রয়েছেন আইনজীবী রাকেশ কিশোর৷