বিস্ফোরণ ঘটানোর সময় ট্যুইন টাওয়ারের (Noida supertech twin towers ) সংলগ্ন প্রায় দেড় হাজার পরিবারকেও পাঁচ ঘণ্টার জন্য নিরাপদে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে৷ এক ঘণ্টার জন্য নয়ডা- গ্রেটার নয়ডা এক্সপ্রেসওয়েতে যান চলাচলও বন্ধ থাকবে৷ বহুতল দু'টি বিস্ফোরণের মাধ্যমে গুড়িয়ে দিতে দু'টি সংস্থাকে বাছাই করা হয়েছে৷ তার মধ্যে একটি সংস্থা দক্ষিণ আফ্রিকার৷
advertisement
আরও পড়ুন: হিজাব মামলায় নিষেধাজ্ঞা বহাল রাখল কর্ণাটক হাইকোর্ট!
যে দু'টি বহুতল ভেঙে ফেলা হচ্ছে, তার মধ্যে একটির উচ্চতা ১০৩ মিটার৷ অন্যটির উচ্চতা ৯৭ মিটার মতো৷ সবমিলিয়ে দুই বহুতলে সাড়ে সাত লক্ষ বর্গফুট বিল্ট আপ এলাকা রয়েছে৷
আরও পড়ুন: কর্পোরেট চাকরি ছেড়ে বিরিয়ানি বিক্রি করে বেশি উপার্জন করছেন দুই ইঞ্জিনিয়ার
বিস্ফোরণের সময় পাথর বা কংক্রিটের আস্তরণ ছিটকে গিয়ে যাতে নিকটবর্তী কোনও বহুতলের ক্ষতি না হয়, তার জন্যও বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে৷ সুপারটেক টুইন টাওয়ারের মাত্র ল৯ মিটারের মধ্যে রয়েছে সুপারটেক এমারেল্ড কোর্ট নামে একটি বহুতল৷ বারো তলার এই বহুতলটিকে রক্ষা করার জন্য তার সামনে স্টিল শিপিং কন্টেইনার সারিবদ্ধ ভাবে রাখা থাকবে৷ আশেপাশের আরও চারটি বহুতলকে বাঁচাতে সেগুলির গায়ে জিওটেক্সটাইল ফেব্রিকের আস্তরণ দিয়ে দেওয়া হবে৷
আকাশছোঁয়া দু'টি বহুতল ধ্বংসের পর প্রত্যাশিত ভাবে চারপাশ ধুলোর চাদরে ঢাকা পড়বে৷ যা কাটতে প্রায় চার থেকে দশ মিনিট সময় লাগবে৷ দু'টি বহুতলকে ভাঙার খরচও নির্মাণকারী সংস্থা সুপারটেককেই বহন করতে হবে৷ গত ৩১ অগাস্ট তিন মাসের মধ্যে বহুতল দু'টি ভাঙার নির্দেশ দিয়েছিল শীর্ষ আদালত৷ দু'টি নির্মাণের মধ্যে ন্যূনতম দূরত্ব না রাখা সহ একাধিক অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে সুপারটেক ট্যুইন টাওয়ারের বিরুদ্ধে৷