গত ডিসেম্বরে পদ্ম শিবিরে নাম লেখানোর পর থেকে সংসদে আসেননি তিনি। তাঁর সাংসদ পদ খারিজ করার আর্জি জানিয়ে লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লাকে চিঠি দেয় তৃণমূল কংগ্রেস। সেই চিঠির প্রেক্ষিতে লোকসভার সচিবালয়ের তরফে সুনীল মণ্ডলের জবাব চান স্পিকার। সম্প্রতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিল্লি সফরের সময় দু'দিন রাতে মুখ ঢেখে মুকুল রায়ের সঙ্গে দেখা করে গিয়েছিলেন বর্ধমান পূর্ব কেন্দ্রের সাংসদ সুনীল মণ্ডল।
advertisement
এরপর সোমবার ত্রিপুরায় অভিষেকের গাড়িতে হামলার নিন্দায় লোকসভায় ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখালেন সুনীল। তৃণমূল কংগ্রেসের অন্য সাংসদদের সঙ্গে শ্লোগানে গলা মিলিয়েছেন তিনি। এদিন তিনি জানান, তৃণমূল কংগ্রেসে ছিলেন, রয়েছেন এবং ভবিষ্যতে তৃণমূলেই থাকবেন। এমনকি এদিন লোকসভায় তৃণমূল কংগ্রেসের অন্যান্য সাংসদদের সঙ্গে বসেছিলেন সুনীল।
সুনীলের স্পষ্ট দাবি, তিনি তৃণমূলেই ছিলেন, তৃণমূলেই আছেন এবং তৃণমূলেই থাকবেন। কথাটাকি সর্বৈব সত্য? তথ্য বলছে গত ১৯ ডিসেম্বর মেদিনীপুরে অমিত শাহের সভায় প্রকাশ্যে বিজেপিতে যোগদান করেছিলেন সুনীল মণ্ডল। সেদিন শুধু সুনীলই নয়, আরও ১১জন বিধায়ককে একসঙ্গে মঞ্চে তুলেছিলেন শুভেন্দু। কিন্তু সুনীল সবটাই যেন ঝেড়ে ফেলতে চাইছেন। তাঁর যুক্তি, সামান্য মান-অভিমান হয়েছিল, এখন আর সেসব নেই, তৃণমূলেই একীভূত তিনি।