সুকান্তর কথায়, "রাজ্য বিজেপির সভাপতি হিসেবে আমার দায়িত্ব রাজ্যে যা চলছে তা রাষ্ট্রপতির গোচরে আনা। লিখিতভাবে তাঁকে সবকিছু জানিয়েছি। যার মধ্যে অন্যতম হলো রাজ্যে সার্বিকভাবে দুর্নীতি, তৃণমূল নেতাদের বেআইনি কাজ কারবার এবং কেন্দ্রীয় এজেন্সির সঙ্গে ছেলেখেলা করবার চেষ্টা।"
এই প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে সুকান্ত বলেন, "রাজ্যে যা চলছে তাতে মনে হয় না ২০২৬ সাল পর্যন্ত এই সরকার চলবে। মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই হয়তো সরকার পড়ে যাবে। তবে, বিজেপি অগণতান্ত্রিক কিছু করবে না। বিজেপি তাদের সাংগঠনিক ক্ষমতা প্রয়োগ করে গণতান্ত্রিক উপায়ে বাংলায় ক্ষমতায় ফিরবে।"
advertisement
আরও পড়ুন: সুস্থ হয়ে জিজ্ঞাসাবাদের সামনে যেতে চান, ১৪ দিন সময় চাইলেন অনুব্রত, খবর সূত্রে
সুকান্ত আরও দাবি করেন, "যেভাবে সরকারের মন্ত্রীরা জেলে যাচ্ছেন এভাবে চলতে থাকলে একদিন আলিপুর জেলের ভিতরে রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠক হবে।জেলের ভিতর থেকে তো সরকার চলতে পারে না।"
অন্যদিকে, অনুব্রত মণ্ডল ইস্যুতে তৃণমূল কংগ্রেস এবং রাজ্য সরকারকে তুলোধোনা করতেও পিছপা হননি সুকান্ত। তাঁর কথায়, "অনুব্রত মণ্ডল মাছের বাজারে মাছ কাটতে কাটতে তৃণমূল নেতা এবং এখন চিকিৎসক হয়ে গিয়েছেন। নিজেই নিজের ফিসচুলার প্রেসক্রিপশন করছেন।"
আরও পড়ুন: 'অনেক হয়েছে'..., অনুব্রতকে কী করা উচিত সিবিআই-এর? 'বড়' নিদান দিলেন শুভেন্দু অধিকারী!
রাজ্যে আইনশৃঙ্খলার সার্বিক অবনতি, তৃণমূল পরিচালিত সরকারের দুর্নীতি, প্রাক্তন শিক্ষা মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জেলযাত্রা, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠের বাড়ি থেকে বিপুল নগদ উদ্ধার, বীরভূমের তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলকে সিবিআইয়ের বারবার তলব সত্বেও তার অনুপস্থিতি এবং রাজ্যজুড়ে বিজেপি কর্মী সমর্থকদের উপর অত্যাচার-সহ একগুচ্ছ ইস্যুতে নবনির্বাচিত রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর হস্তক্ষেপ চাইলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি।
বুধবার দুপুর বারোটা নাগাদ নবনির্বাচিত রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে শুভেচ্ছা জানাতে গিয়েছিলেন সুকান্ত মজুমদার। তার সঙ্গে ছিলেন বিজেপি সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো।সেখানেই রাষ্ট্রপতির হাতে একটি স্মারকলিপি তুলে দেন সুকান্ত।