ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরোর ২০২১ এর বার্ষিক রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২০২১ সালে ১ লক্ষ ৬৪ হাজার ০৩৩টি আত্মহত্যার ঘটনার মধ্যে প্রতি চারজনের মধ্যে একজন দিন মজুর। রিপোর্ট অনুযায়ী, বিভিন্ন পেশায় থাকা ব্যক্তিদের আত্মহত্যার বিচারে শীর্ষে দিন মজুররা। মোট আত্মহত্যার ঘটনার মধ্যে ৪২ হাজার ৪ জন দিনমজুর, অর্থাৎ ২৫.৬ শতাংশ। ২০২০ সালেও মোট আত্মহত্যার ২৪.৬ শতাংশ ছিলেন দিন মজুর। ২০১৯ সালে করোনার আগে পর্যন্ত দিন মজুরদের আত্মহত্যার হার ছিল ২৩.৪ শতাংশ। এমনতিই বেকারত্ব এবং কর্মসংস্থান, অসংগঠিত শ্রমিকদের বেহাল পরিস্থিতিতে মোদি সরকারের সমালোচনায় সরব বিরোধীরা।
advertisement
আরও পড়ুন: গোড়ায় গলদ, ২০১১ থেকে প্রাথমিকের সব চাকরি খতিয়ে দেখবে ইডি! তোলপাড় বাংলা
তার মধ্যে ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরোর এই পরিসংখ্যান নতুন করে হাতিয়ার তুলে দিয়েছে বিরোধীদের হাতে। রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা কংগ্রেসের মল্লিকার্জুন খাড়গে টুইটারে লেখেন, "বিজেপির নতুন ভারতে, প্রধানমন্ত্রীর বন্ধু নিজের সম্পদ বাড়িয়ে বিশ্বের সবেচেয়ে ধনী হয়েছেন। অন্যদিকে, দিন মজুররা দেশের নিম্নমুখী অর্থনীতিতে আয় হারিয়ে আত্মহত্যায় বাধ্য হচ্ছেন। এই ফকির ব্যক্তি সুনিশ্চিত করেছেন যে, তাঁর স্যুট, বুট পরা বন্ধু ছাড়া দেশের সবাই ফকির থাকবেন।"
আরও পড়ুন: ডুয়ার্সজুড়ে পার্থ-ঘনিষ্ঠ প্রসন্নর একাধিক রিসর্টের খোঁজ! 'মালিকের' গ্রেফতারির খবরে আতঙ্কে কর্মীরা
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ফের ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরোর রিপোর্ট অনুযায়ী দেশে মহিলাদের জন্য সবচেয়ে নিরাপদ শহর কলকাতা। অন্যতম নিরাপদ শহর কলকাতা, 'অনিরাপদের' শহরের তালিকায় শীর্ষে দিল্লি। সুরক্ষিত শহরের তালিকা বলছে, ভারতের ১৯টি বড় শহর বা মেট্রোপলিটন শহরের মধ্যে কলকাতাই মহিলাদের জন্য সবচেয়ে নিরাপদ। এই শহরে ধর্ষণের রিপোর্টের পরিমাণ সবচেয়ে কম। এমনই বলছে সাম্প্রতিকতম সমীক্ষা। ২০২১ সালে 'সিটি অফ জয়' মাত্র ১১ টি ধর্ষণের অভিযোগ। ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরোর প্রকাশিত রিপোর্ট বলছে, মহিলাদের জন্য সর্বাধিক সুরক্ষিত শহরগুলির মধ্যে অন্যতম কলকাতা। সেখানে দিল্লিতে দেশের মেট্রোপলিটন শহরগুলির মধ্যে সবচেয়ে বেশি মাত্রায় রিপোর্ট হয়েছে ধর্ষণের ঘটনা। ২০২১ সালে দিল্লিতে এমন ঘটনার সংখ্যা ১২২৬টি।