গত কয়েক মাস ধরে তৃণমূল যে যে অভিযোগ করেছে, এ দিন সুদীপ রায় বর্মনের (Sudip Roy Barman) গলাতেও কার্যত তারই প্রতিধ্বনি শোনা গিয়েছে ৷ বিপ্লব দেবের নাম না করেই তাঁর মানসিক সুস্থতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন সুদীপ রায় বর্মন। বিজেপি-র বিদ্রোহী বিধায়কের দাবি, ভোটের আগে হামলা, হুজ্জতি করে আসলে দলেরই বদনাম করা হয়েছে। তবে সুদীপ রায় বর্মন বোঝাতে চেয়েছেন, তৃণমূল নয়, আসলে ত্রিপুরায় বিজেপি-র প্রকৃত প্রতিপক্ষ বামফ্রন্টই।
advertisement
আরও পড়ুন-আজও স্বাভাবিকের নীচেই পারদ, বৃহস্পতিবার থেকে আবহাওয়ার বদল ঘটার সম্ভাবনা
সুদীপ রায় বর্মনের মতে, ‘‘আমরা নিজেদের প্রকৃত রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকেই চিনতে পারিনি।’’ সুদীপ জানিয়েছেন, ‘‘ইদানিংকালে যে ঘটনাগুলি রাজ্যবাসী চাক্ষুস করছেন, হামলা, হুজ্জতি, রাতের অন্ধকারে বাড়ি ঘর ভাঙা, প্রার্থীর বাড়ি লক্ষ্য করে গুলি চালানো- এই ঘটনাগুলির আমরা তীব্র নিন্দা জানাই। ভারতীয় জনতা পার্টির মূল মন্ত্র সবকা সাথ, সবকা বিকাশ, সবকা বিশ্বাস। ভারতীয় জনতা পার্টি যে চিন্তাধারায় আবদ্ধ, তাতে দেশের স্বার্থ সবার আগে, তার পর দল, ব্যক্তি। এই দুই মূল মন্ত্রের কোনওটাই রাজ্যে বাস্তবায়িত হচ্ছে না ৷ উন্নয়ন, বিশ্বাসের উপরে ভোট হলে এসব হামলা, হুজ্জতির প্রয়োজন ছিল না।’’ যদিও এই পরিস্থিতির জন্য দলীয় নেতৃত্বকে সরাসরি দায়ী করেননি সুদীপ রায় বর্মন।
আরও পড়ুন-সুখবর বিশ্বকাপজয়ী নায়কের জন্য! রঞ্জি ট্রফির জন্য বাংলা দলে সরাসরি ডাক পাচ্ছেন রবি কুমার
সুদীপের দাবি, ‘‘বিজেপি নেতৃত্ব তো কাউকে হামলা করা, গুলি চালানো, রক্তপাত ঘটানোর নির্দেশ দেয়নি। আমাদের মতো অগণিত বিজেপি কর্মী, সমর্থকদের একটাই চিন্তা, এসব করে বিজেপি, প্রধানমন্ত্রীর দুর্নাম করেছে। একটা স্থানীয় স্তরের নির্বাচনে যদি উন্নয়নকে সামনে রেখে ভোট হত, খুব খুশি হতাম। বরং প্যারাসুট থেকে এসে নেমে পড়া মানসিক বিকৃতির শিকার একজন নেতার নির্দেশে এসব হয়েছে গোটা রাজ্য জুড়ে। যারা সন্ত্রাস করে বেড়াচ্ছে তারা বিজেপি-র কর্মী নন।এদের একটা বড় অংশ বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর দলে এসেছে। আসলে এরা কট্টর বামপন্থী ঘরানার।"
আর এই অবস্থাতে তার পুরনো দল কংগ্রেসেই সুদীপ রায় বর্মন ফিরছেন বলেই রাজনৈতিক সূত্রে খবর। চলতি সপ্তাহে তিনি কংগ্রেসে যোগ দিতে পারেন বলে জল্পনা আগরতলা জুড়ে।
আবীর ঘোষাল