সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় রাষ্ট্রপতিকে অভিযোগ জানানোর সময় পাশে ছিলেন উপরাষ্ট্রপতি বেঙ্কাইয়া নাইডু। রাজ্য বিজেপি-র সভাপতি তথা সাংসদ সুকান্ত মজুমদার অবশ্য এই বিষয়ে বলেছেন, "সংসদের সেন্ট্রাল হলে তৃণমূল সাংসদরা আজ যা করলেন তা ভারতের ইতিহাসে কখনও ঘটেনি। সেন্ট্রাল হলে রাষ্ট্রপতির ভাষণ শেষ হওয়ার পরে শুভেচ্ছা বিনিময়ের রীতি রয়েছে। সেখানে নোংরা রাজনীতি টেনে এনে বাংলার সম্মান ক্ষুণ্ণ করেছেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়।"
advertisement
আরও পড়ুন: ট্যুইটারে রাজ্যপালকে ব্লক করলেন মুখ্যমন্ত্রী, কঠোর হয়ে ক্ষমাপ্রার্থী মমতা
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, নবান্নের সঙ্গে রাজ ভবনের সংঘাত দিনে দিনে বেড়েই চলেছে৷ সাংবিধানিক প্রধান হয়েও, রাজ ভবন থেকে সমান্তরাল সরকার চালানোর অভিযোগ তোলা হয়েছে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে। নিজের এক্তিয়ারের বাইরে গিয়ে রাজ্যপাল রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে নানা মন্তব্য, ট্যুইট করছেন বলে বারবার অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল।
রাজ্যের নানান আধিকারিকদের রাজ ভবনে তলব করে রিপোর্ট চাওয়ার কারণেও রাজ্যপালের উপরে বেজায় ক্ষুব্ধ রাজ্যের শাসক দল এবং রাজ্য সরকার। রাজ্যপালের সমান্তরাল সরকার চালানোর বিরুদ্ধে সংসদে সরব হওয়া এবারের বাজেট অধিবেশনে অন্যতম অ্যাজেন্ডা ছিল তৃণমূলের। প্রথম দিনেই সেই অ্যাজেন্ডা তুলে ধরলেন তৃণমূলের লোকসভায় তৃণমূলের দলনেতা এবং তাও আবার সরাসরি রাষ্ট্রপতির কাছে।
আরও পড়ুন: 'দয়া করে এ রাজ্য ছেড়ে চলে যান', গান্ধি-স্মরণে রাজ্যপালকে তোপ ফিরহাদের
এ দিন ভাষণের পর রাষ্ট্রপতি সাংসদদের সঙ্গে করজোড়ে যখন কুশল বিনিময় করেছিলেন, সেই সময় সামনের সারিতে বসেছিলেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর সদাহাস্য মুখের প্রশংসা করেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। সুদীপকে রাষ্ট্রপতি বলেন, "আপনার সবসময়ের এই হাসিমুখ দেখতে ভাল লাগে।"
রাষ্ট্রপতির থেকে কথা শোনার পরেই সাহস পেয়ে যান সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। সঙ্গে সঙ্গে হাতজোড় করে তিনি বলেন, "আমাদের দয়া করে বাঁচান। রাজ্যে গণতন্ত্র সঙ্কটে। রাজ্যপাল যা খুশি করছেন। সমান্তরাল সরকার চালানোর চেষ্টা করছেন রাজ্যপাল।" তবে, তাঁর যাবতীয় অভিযোগ মন দিয়ে শোনেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ।