সূত্রের খবর, কমিটির তরফে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে বলা হয়েছে, ইতিমধ্যেই একটি জবাব দিয়েছেন শিশির অধিকারী। সেই চিঠি দ্রুতই তাঁকে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। তার পরিপ্রেক্ষিতে পাল্টা জবাব দিতে পারবে তৃণমূল কংগ্রেস। দলের তরফে খুব দ্রুত শিশির অধিকারীর বিরুদ্ধে দলত্যাগ আইনে পদক্ষেপ করার দাবি জানানো হয়েছে। এর আগে শুনানির দিন ধার্য করা হলেও স্বাধিকার কমিটির রিপোর্টে উপস্থিত থাকতে পারেননি সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। যার ফলে সেদিন শুনানি হয়নি। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, দিন কয়েক আগেই দলবদলের বিষয়টি নিয়ে দ্রুত শুনানির নিষ্পত্তি করার কথা বলেছিলেন লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লা।
advertisement
আরও পড়ুন: ছাত্রকে দিয়ে শরীর মালিশ! ভিডিও ভাইরাল হতেই বড় শাস্তি শিক্ষিকার
তৃণমূলের টিকিটের সংসদ হলেও গত বিধানসভা নির্বাচনে অমিত শাহের সভায় দেখা গিয়েছিল তাঁকে। যদিও আনুষ্ঠানিকভাবে বিজেপিতে যোগদান করেননি তিনি। তবে বিধানসভা নির্বাচনে ছেলে শুভেন্দু অধিকারীকে সমর্থন করার কথা বলেছিলেন শিশির অধিকারী। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে তৃণমূলের সব সাংসদ বিধায়ক বিধানসভায় ভোট দিলেও বিজেপি সাংসদদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে শিশির অধিকারী ভোট দিয়েছিলেন দিল্লিতে লোকসভায়। দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ শিশির অধিকারী । রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে দিল্লিতে গিয়ে তিনি ভোট দেওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করেন। তবে যেহেতু তিনি অসুস্থ তাই তাঁর দিল্লি সফর চিকিৎসকরা আদৌ মঞ্জুর করবেন কিনা, তা নিয়ে প্রশ্ন ছিল।
আরও পড়ুন: প্রতীক্ষার অবসান! গুগল স্ট্রিট ভিউ কি এবার ভারতেও?
চিকিৎসকরা শিশির অধিকারীকে দিল্লি যাওয়ার ছাড়পত্র দেন। এরপরই শিশির অধিকারী দিল্লিতে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভোটদান করেন। শিশির অধিকারী ছাড়াও পূর্ব বর্ধমানের সাংসদ সুনীল মণ্ডলের সাংসদ পদও খারিজের দাবি জানিয়েছিল তৃণমূল৷ কারণ তিনিও বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপি-তে যোগ দিয়েছিলেন৷ কিন্তু সুনীল মণ্ডল তৃণমূলে ফিরে আসায় তাঁর সাংসদ পদ খারিজের দাবি থেকেও সরে এসেছে ঘাসফুল শিবির৷
Rajib Chakraborty