বুধবার সকালে ট্যুইটারে কেন্দ্রীয় নগরোন্নয়নমন্ত্রী হরদীপ সিং পুরী জানান, ‘‘রোহিঙ্গাদের জন্য নয়াদিল্লির দিল্লির বক্করওয়ালায় গরীব মানুষের জন্য তৈরি আবাসনে থাকার ব্যবস্থা করা হবে। তাঁদের প্রাথমিক সুবিধা যেমন, রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবধিকার কমিশনের পরিচয়পত্র, ২৪ ঘণ্টা দিল্লি পুলিশ মারফত সুরক্ষার ব্যবস্থা করা ইত্যাদি দেওয়া হবে। পরে অবশ্য কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয় এরকম কোনও নির্দেশ দেওয়া হয়নি।’’
advertisement
সুব্রহ্মণ্যম স্বামী ট্যুইটারে লেখেন, "সামাজিক মাধ্যমে করা মন্তব্যের জন্য মোদির নগরোন্নয়ন মন্ত্রীকে বরখাস্ত করা উচিত। রোহিঙ্গাদের জন্য আবাসন নির্মাণের নির্দেশ দিয়ে জাতীয় স্বার্থ লঙ্ঘন করার জন্য তাঁকে বরখাস্ত করা উচিত। বিজেপির হিন্দুত্বের আদর্শ ক্ষতি হয়েছে এই মন্তব্য।" আরএসএস এবং বিশ্ব হিন্দু পরিষদও কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর এই ঘোষণার নিন্দা করেন। কেন রোহিঙ্গাদের জন্য এই সুবিধা দেওয়া হচ্ছে সেই প্রশ্ন তোলা হয়। ট্যুইটারে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী লেখেন, “যারা ভারতের শরণার্থী নীতিকে ইচ্ছাকৃতভাবে CAA (নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন)-এর সঙ্গে যুক্ত করে গুজব ছড়িয়ে দিয়েছে তাঁরা হতাশ হবেন। ভারত জাতিসংঘের উদ্বাস্তু কনভেনশন ১৯৫১-কে সম্মান ও অনুসরণ করে এবং জাতি, ধর্ম বা বর্ণ নির্বিশেষে সকলকে আশ্রয় দেয়”।
আরও পড়ুন: ‘আমার গর্ব...আমার ছেলে’, অভিষেকের প্রশংসায় পঞ্চমুখ অমিতাভ
আরও পড়ুন: মিষ্টি কুকুরছানাদের সঙ্গে সময় কাটান তারা! ছবিগুলি দেখে মন ভরল পশুপ্রেমীদের
যদিও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে টুইটারে ঘোষণা করা হয়, "অবৈধ রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশকারীদের নিয়ে সংবাদমাধ্যমের খবরের প্রেক্ষিতে জানানো হচ্ছে যে, দিল্লির বক্করওয়ালায় রোহিঙ্গাদের জন্য আবাসনের ব্যবস্থা করার কোনও নির্দেশ দেওয়া হয়নি।" কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক আরও জানায়, "রোহিঙ্গাদের নতুন কোনও জায়গায় স্থানান্তরিত করার প্রস্তাব দেয় দিল্লি সরকার। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে দিল্লি সরকারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যেহেতু রোহিঙ্গা অবৈধ বিদেশিদের, বিদেশমন্ত্রকের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট দেশে ফেরৎ পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু করেছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক, ফলে তাঁরা যাতে সেই জায়গাতেই থাকে তা সুনিশ্চিত করতে হবে।" শরণার্থী অধিকার এবং তাঁদের সুরক্ষার জন্য দেশগুলির বাধ্যবাধকতার নীতি নির্ধারক জাতিসংঘের কনভেনশনে স্বাক্ষরকারী দেশ নয় ভারত।
RAJIB CHAKRABORTY