ইতিমধ্যে প্রশিক্ষণ শিবিরের অধ্যক্ষ, স্কুলের প্রধান শিক্ষক, একই স্কুলের আরও দুই শিক্ষক এবং এক সাংবাদিক-সহ মোট ১১ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, একটি বেসরকারি স্কুল নিজেদের এনসিসি টিমকে সঙ্গে নিয়ে যায়নি। বদলে অন্য একটি দল গিয়ে এই এনসিসি ক্যাম্পটির আয়োজন করে। সেখানে স্কুলের ৪১ জন পড়ুয়া যায়। তাঁদের মধ্যে ১৭ জন ছাত্রী ছিল।
advertisement
আরও পড়ুন: ঘরে ঘরে সর্দি-কাশি-জ্বর! সংক্রমণ ঠেকাতে কী করবেন? রইল ‘এক’ চামচের টিপস, জানুন
তিনদিনের এই এনসিসি ক্যাম্পটি সদ্য শুরু হয়েছিল। ছাত্রীদের জন্য স্কুলের একতলায় থাকার ব্যবস্থা করা হয়। অন্যদিকে, নিচের তলায় থাকার ব্যবস্থা ছিল ছাত্রদের। ক্যাম্পে শুরু থেকেই নানা অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। ছাত্রীদের অভিযোগ, প্রশিক্ষণের নামে তাদের আলাদা ভাবে অডিটোরিয়ামে ডাকা হত এবং যৌন হেনস্থা করা হত।
এক ছাত্রীর শ্লীলতাহানিও করা হয় বলে অভিযোগ। স্কুলে ফিরে কর্তৃপক্ষকে জানালে, তারা এই বিষয়ে পুলিশকে খবর তো দেননি, বরং পড়ুয়াদের এই বিষয়টি গুরুত্ব না দিতেই বলেন। এক পড়ুয়া তাঁর মা-বাবাকে জানালে, তারাই পুলিশে অভিযোগ জানান। এরপরই তদন্তে নেমে ভুয়ো এনসিসি ক্যাম্পের হদিস পায়। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।