প্রত্যাশাপূরণের এই শহরের কোচিং সেন্টারগুলি নিয়ে একাধিক অভিযোগ উঠেছে বার বার। একবার সেখানে ভর্তি হলে প্রত্যেক পড়ুয়াকে দৈনিক ১৫ ঘণ্টা পড়তে হত। রুটিনের বাইরে গিয়ে এক ঘণ্টা বাড়তি ঘুমোলেও নাকি অপরাধবোধে ভুগত তারা।
এই মানসিক চাপের মধ্যে অত্যধিক পড়াশোনা করতে হলেও তাঁদের থাকতে হয় অপরিসর ঘরে। হস্টেল হোক বা পেয়িং গেস্ট-পড়ুয়াদের ঘরে আলোবাতাসের পরিসর নামমাত্র। অভিযোগ, পড়ুয়াদের খেয়াল রাখা তো দূর অস্ত্। কোচিং সেন্টারগুলি শুধু উপার্জনেই ব্যস্ত।
advertisement
আরও পড়ুন : 'বিশ্বকাপে আমার শেষ ম্যাচ...' স্বপ্নের কারিগর লিওনেল মেসির কথায় হৃদয়ভঙ্গ অনুরাগীদের
বিহারের দুই তরুণ অঙ্কুশ এবং উজ্জ্বল একই বিল্ডিংয়ের পাশাপাশি দুই ঘরে থাকতেন। দু’জনেই সোমবার 'আত্মঘাতী' হয়েছেন। অকালে ঝরে যাওয়া তৃতীয় ছাত্র প্রণব কোটায় এসেছিলেন মধ্যপ্রদেশ থেকে। তিনি নিট বা ন্যাশনাল এলিজিবিলিটি কাম এন্ট্রান্স টেস্টের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।
আরও পড়ুন : গোবিন্দভোগ চালেও কর ! সংসদে বিরোধিতা সুদীপের
দেবশ্রী ট্যান্ডন নামে অঙ্কুশের এক প্রতিবেশী নিজের সন্তানের সঙ্গে তাঁকেও কোটায় এনেছিলেন। তিনি মানতে চাননি যে অঙ্কুশ মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েছিলেন। জানিয়েছেন অঙ্কুশ পরিণত ছিলেন মানসিক দিক থেকে। অবশ্য তিনি নিজে তাঁর সন্তানকে কোটা থেকে নিয়ে চলে যাচ্ছেন।
এই ঘটনার পর থেকে নিজেদের নিয়মাবলীতে পরিবর্তন আনার কথা ভাবছে কোটার কোচিং সেন্টারগুলি।