সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হাসপাতালের একজন নিরাপত্তারক্ষী কুকুরটিকে মুখে একটি সদ্যোজাতকে নিয়ে ঘুরতে দেখেন। পরে শিশুর দেহটি সেখানে ফেলে দিয়ে চলে যায় কুকুরটি। কিন্তু শিশুটি ততক্ষণে মারা গিয়েছে। শিশুটির পরিচয় এখনও পাওয়া যায়নি।
কুকুরটি শিশুটির মৃতদেহ টেনে নিয়ে যাচ্ছিল, নাকি শিশুকে হত্যা করেছে তা খতিয়ে দেখছেন পুলিশ। সদ্যোজাতের ময়নাতদন্ত করা হবে বলে জানানো হয়েছে। এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট এলাকার থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুনঃ ট্রেনে ব্যাগ হারিয়ে গেলে আদৌ কি মেলে ক্ষতিপূরণ! জেনে নিন রেলের নিয়ম সম্পর্কে
এদিকে, শিবমোগা জেলা মেডিক্যাল অফিসার রাজেশ সুরাগিহাল্লি বলেছেন, যে নবজাতকটি জেলা হাসপাতালে জন্মগ্রহণ করেনি, বা সেখানে ভর্তিও করা হয়নি। তার পরিবারের কোনও খোঁজ মেলেনি।
তিনি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘জেলা হাসপাতালে তিনটি শিশুর জন্ম হয়েছে এবং তাঁরা সবাই নিরাপদ রয়েছে।’ শিশুটিকে শনাক্ত করতে চারটি দল গঠন করেছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ।
দিল্লি-এনসিআর-এর পাশাপাশি অন্যান্য রাজ্যের হাউজিং সোসাইটিতে কুকুরের কামড়ের কয়েকটি ঘটনায় প্রশাসন এবং বিভিন্ন সংস্থার তরফে বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ ক্রিকেটে নো বল ঘিরে বিবাদ, তুমুল মারামারি, তারপরেই রক্তারক্তি ঘটনা
নয়ডায় প্রথম এই পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়, যেখানে পোষ্য সারমেয়দের নাম রেজিস্ট্রার করতে হবে। সেখানকার কর্তৃপক্ষ ৩১ জানুয়ারি, ২০২৩ এর মধ্যে পোষ্য প্রাণীর নাম রেজিস্ট্রার করা বাধ্যতামূলক করেছে এবং সেটা না করলে জরিমানা করা হবে।
সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন আবাসনে এমন ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। কিন্তু হাসপাতালের মধ্যে কুকুরের মুখে সদ্যোজাত কী করে এল তা এখনও স্পষ্ট নয়। ওই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, ওই সদ্যোজাত হাসপাতালে জন্মগ্রহণ করেনি। গোটা বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।