আরও পড়ুন- ফের মূল্যবৃদ্ধি! ১৮ জুলাই থেকে বাড়ছে কোন কোন নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম?
শ্রীলঙ্কার পার্লামেন্টের মহাসচিব ধম্মিকা দাসানায়েক আনুষ্ঠানিকভাবে রাজাপক্ষের পদত্যাগপত্র পাঠ করে শোনান। রাজাপক্ষ তাঁর পদত্যাগের চিঠিতে জানান, শ্রীলঙ্কার আর্থিক সঙ্কটের মূল ছিল কয়েক বছরের অর্থনৈতিক অব্যবস্থাপনা যা তাঁর রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব গ্রহণের আগে থেকে চলেছে। কোভিড-১৯ মহামারী শ্রীলঙ্কায় পর্যটকদের আগমন এবং বিদেশের কর্মীদের কাছ থেকে অর্থের জোগানকে ব্যাপকভাবে হ্রাস করেছিল। চিঠিতে বলা হয়েছে, “এটি আমার ব্যক্তিগত বিশ্বাস যে আমি এই সঙ্কট মোকাবিলায় সাংসদদেরকে সর্বদলীয় বা ঐক্য সরকার গঠনের আমন্ত্রণ জানানো সহ সম্ভাব্য সকল পদক্ষেপই করেছি”।
advertisement
রাষ্ট্রপতি পদে মনোনয়ন গ্রহণের জন্য আগামী মঙ্গলবার সংসদ বৈঠক করবে। বুধবার দেশের নেতা নির্ধারণের জন্য ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। ছয়বারের প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহে, ততদিন পর্যন্ত ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নিয়েছেন।
আরও পড়ুন- ভারতে ওমিক্রনের নয়া সাব ভ্যারিয়েন্ট! বর্ষায় সর্দি-জ্বর নাকি কোভিড? বুঝবেন কীভাবে
বিক্ষোভকারীদের অবশ্য দাবি পদত্যাগ করুন বিক্রমাসিংহেও। শুক্রবারই তাঁকে ক্ষমতাসীন দলের রাষ্ট্রপতি প্রার্থী হিসাবে নির্বাচিত করা হয়। তবে তাঁকে আবার দেশের রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত করা হলে বিক্ষোভ আরও বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বিরোধী দলের মনোনীত রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হলেন সজিথ প্রেমাদাসা, পাল্লা ভারী রয়েছে দুল্লাস আলাহাপ্পেরুমার দিকেও।
শ্রীলঙ্কার অর্থনৈতিক মন্দাকে ঘিরে বিক্ষোভ ৯ জুলাই ব্যাপক আকার ধারণ করলেও, তা চলছে লাগাতার কয়েক মাস ধরেই। বিক্ষোভকারীরা মুদ্রাস্ফীতি, জীবনধারণের মৌলিক পণ্যের ঘাটতি এবং দুর্নীতির জন্য রাজাপক্ষ ও তাঁর রাজনৈতিক সঙ্গীদেরই দায়ী করেছে।