করোনা মোকাবিলায় যাঁরাই রাশিয়ার তৈরি স্পুটনিক ভি ভ্যাকসিনের দু'টি ডোজ নিয়েছেন এবং সরবরাহ - সম্পর্কিত সমস্যার কারণে ভ্যাকসিনের তৃতীয় ডোজ নিতে পারছেন না, তাঁরা সতর্কতামূলক ডোজ বা বুস্টার ডোজ হিসাবে কো ভ্যাকসিন বা কোভিশিল্ড ভ্যাকসিনকে বেছে নিতে পারেন। সে বিষয় কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক স্পষ্ট করেছে।
স্পুটনিক ভি উপলব্ধ না হলে সতর্কতামূলক ডোজ হিসাবে সরকারি বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে যে কোনও উপলব্ধ দু'টি ভ্যাকসিনের যে কোনও একটিকে বুস্টার ডোজ ভ্যাকসিন হিসেবে নিতে পারবেন, বলেছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের একজন সিনিয়র স্বাস্থ্য অধিকর্তা।
advertisement
আরও পড়ুন: চুক্তি ভিত্তিক কর্মীদের মেয়াদ শেষ! আচমকা দেশজুড়ে থমকে গেল ডাক্তারি গবেষণা
রাশিয়ার গামলেয়া ন্যাশনাল রিসার্চ ইনস্টিটিউট অফ এপিডেমিওলজি অ্যান্ড মাইক্রোবায়োলজি স্পুটনিক ভি ভ্যাকসিন তৈরি করেছে এবং রাশিয়ান ডাইরেক্ট ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড বিশ্বব্যাপী এই ভ্যাকসিন বাজারজাত করছে। ভারতে, ডক্টর রেড্ডিজ ল্যাবরেটরি স্পুটনিক ভ্যাকসিন বিতরণ করেছে।
তবে বর্তমানে এই ভ্যাকসিন রাশিয়া থেকে রপ্তানি সম্ভব হচ্ছে না। ফলে বাজারে স্পুটনিক ভি-র বুস্টার ডোজের অমিল রয়েছে। প্রসঙ্গত, দেশে কয়েক লক্ষ মানুষ রাশিয়ার তৈরি এই করোনা ভ্যাকসিনের দু'টি ডোজ নিয়েছেন। কিন্তু বর্তমানে বুস্টার ডোজ হিসেবে তাঁরা কোন ভ্যাকসিন নেবেন, সেই বিষয় অত্যন্ত চিন্তিত হয়ে পড়েছেন। তাঁদের সেই দুশ্চিন্তায় এবার আশার আলো মিলবে কেন্দ্রীয় সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রকের নয়া এই সিদ্ধান্তে।
পশ্চিম বর্ধমান জেলার অণ্ডালের বাসিন্দা দম্পতি সৌরভ সিনহা এবং দেবপ্রিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় সিনহা জানান "আমরা দুর্গাপুরের মিশন হাসপাতাল থেকে স্পুটনিক ভি ভ্যাকসিনের দু'টি ডোজ নিয়েছিলাম। বুস্টার ডোজের সময়ও পার হয়ে গিয়েছে, কিন্তু বুস্টার ডোজ পাইনি। সরকার যদি এই সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে তাহলে ভালো। আমরা অবিলম্বে কভিশিল্ড বা কো ভ্যাকসিন ডোজ নিয়ে নেবো। কিন্তু সরকার আরেকটু আগে সিদ্ধান্ত নিলে সুবিধা হতো।"
এবার প্রশ্ন হলো ভ্যাকসিন মিক্সিংয়ে কোনও অসুবিধা হবে না তো শরীরে? এ বিষয় আগেই বেশ কয়েকটি গবেষণায় ভ্যাকসিন মিক্সিংয়ের ক্ষেত্রে শরীরে ইমিউনিটি অনেকাংশে বাড়ে বলেই দেখা গেছে। সম্প্রতি এনএইভি পুণের ডিরেক্টর প্রিয়া আব্রাহাম কলকাতায় এসে জানান, ভ্যাকসিন মিক্সিংয়ে শরীরে ইমিউনিট অনেকটাই বেড়ে যায়।