রবিবার সকালে একটি ট্যুইট করে অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা জানান, 'বলিউড অভিনেতা শ্রী শাহরুখ খান রাত ২ টো নাগাদ আমায় ফোন করেছিলেন। আমরা দীর্ঘক্ষণ কথা বলি। গতকাল তাঁর একটি সিনেমা প্রদর্শনের সময় গুয়াহাটিতে একটি ঘটনা ঘটেছে। উনি বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগপ্রকাশ করেন। আমি তাঁকে আশ্বাস দিয়েছি, জানিয়েছি যে এ রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সামলানো সরকারের দায়িত্ব। আমরা বিষয়টি তদন্ত করে দেখব এবং ভবিষ্যতে যাতে এমন ঘটনা আর না ঘটে, সেই বিষয়ে নজর রাখব।"
advertisement
গত শনিবার অসমে শাহরুখ খানের নতুন সিনেমা 'পাঠান'-এর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে বজরং দলের সদস্যেরা। পাশাপাশি, সিনেমার পোস্টার ছিঁড়ে তাতে আগুন লাগিয়ে দেওয়ারও অভিযোগ ওঠে। সেই ঘটনা নিয়ে অসমের মুখ্যমন্ত্রীকে প্রশ্ন করা হলে, সকলে চমকে দেওয়ার মতো জবাব দেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী। বলে ওঠেন, "কে শাহরুখ খান?" অসমের মুখ্যমন্ত্রীর এ হেন মন্তব্য ঘিরে শোরগোল পড়ে যায় গোটা দেশে।
আরও পড়ুন: চাকরি দিতে ঘুষের ১০% পেত কুন্তল, আর বাকিটা যেত...চাঞ্চল্যকর দাবি কোর্টে! তোলপাড় বাংলা
যদিও এরপরই হিমন্ত বলেন, "শাহরুখ খান আমাকে কোনও ফোন করেননি। তবে তিনি ফোন করলে আমি বিষয়টি খতিয়ে দেখব। যদি আইনশৃঙ্খলা লঙ্ঘন হয়ে থাকে তাহলে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।"
এরপরই অসমবাসীর উদ্দেশ্যে অভিনব আহ্বান জানান তিনি। বলেন, "অসমের মানুষদের অহমিয়া সিনেমা নিয়ে মাতামাতি করা উচিত। শীঘ্রই মুক্তি পেতে চলেছে অহমিয়া সিনেমা 'ডঃ বেজবড়ুয়া পার্ট ২"। তিনি সকলকে এই সিনেমাটি দেখার অনুরোধ জানান।
আরও পড়ুন: পশ্চিমী ঝঞ্ঝা, সঙ্গে বিপরীত ঘূর্ণাবর্ত, বাংলার আবহাওয়ায় বড় বদল আসছে! শীতের ছুটি?
প্রসঙ্গত, মুক্তির আগেই 'গেরুয়া' বিতর্কে জড়িয়েছে শাহরুখের 'পাঠান'। সিনেমার একটি গান 'বেশরম রং'-এর দৃশ্যে অভিনেত্রী দীপিকা পাডুকোনের পোশাক নিয়ে আপত্তি তুলেছিলেন গেরুয়া শিবিরের অনেকেই। শনিবার এই প্রসঙ্গেই অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা-কে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, শাহরুখ খান কে, তা তিনি জানেনই না। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে অসমের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "কে শাহরুখ খান? আমি ওঁর সম্পর্কে বা ওঁর সিনেমা 'পাঠান' সম্পর্কে কিছুই জানি না।"
উল্লেখ্য, দিন কয়েক আগেই বিজেপির কর্মসমিতির বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি স্পষ্টভাবে নির্দেশ দিয়েছিলেন, দলীয় কর্মী-সমর্থকেরা যেন সিনেমার মতো 'অপ্রাসঙ্গিক' বিষয়ে মন্তব্য না করেন। তাতে বিজেপির উন্নয়নমূলক কর্মসূচির কথা পিছনের সারিতে চলে যাচ্ছে। মোদির সেই পরামর্শে যে বিশেষ লাভ হয়নি, সাম্প্রতিক ঘটনা বোধহয় সেটাই প্রমাণ করল আরেকবার।