এ দিন সংসদে বক্তব্য রাখার সময় বলেন, এই বিল নিয়ে দীর্ঘসূত্রিতা কেন্দ্রীয় সরকারের গাফিলতির প্রকাশ৷ তিনি বলেন, ‘নারী শক্তি বন্দন অধিনয়ম ২০২৩’ বিলটিকে আমরা পূর্ণ সমর্থন করছি৷ কিন্তু মহিলাদের এই বিষয়ের সুবিধা পেতে আইন হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে৷ আমরা সেটা চাই না, আমরা চাই এই বিলটিকে যেন এখনই আইনে পরিণত করা হয়৷ এই বিলটি আনার বিষয়ে অতিরিক্ত দেরি করেছে কেন্দ্রীয় সরকার৷ আমি সরকারকে অনুরোধ করব এখনই যেন আইন করা হয়৷’’
advertisement
পাশাপাশি তিনি বলেন, বিভিন্ন পিছিয়ে পড়া শ্রেণির মহিলাদের জন্য যেন আলাদা করে সংরক্ষণ করা হয়৷ তবে তাঁর বক্তব্য শুরু হওয়ার আগেই তিনি ঘোষণা করেন, ‘এটি রাজীব গান্ধির স্বপ্নের বিল৷’ সনিয়া বলেন, ‘আমার জীবনের ক্ষেত্রে এটি একটি আবেগঘন মুহূর্ত৷ আমার জীবনসঙ্গী রাজীব গান্ধি প্রথমবার স্থানীয় স্তরে মহিলা প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করার জন্য মহিলা সংরক্ষণের আইন এনেছিলেন৷ রাজ্যসভায় সেই আইন হেরে গিয়েছিল মাত্র সাতটি ভোটে৷ পরে পিভি নরসিমহা রাও এর নেতৃত্বে চলা কংগ্রেসের সরকার এই আইন পাশ করে৷ যার জন্য সারা দেশে স্থানীয় স্তরে ১৫ লক্ষ নির্বাচিত মহিলা প্রতিনিধি আমরা পেয়েছি৷ তবে রাজীব গান্ধির স্বপ্ন অর্ধেক পূর্ণ হয়েছিল, আজ এই বিলের মাধ্যমে বৃত্ত সম্পূর্ণ হল৷’’
সনিয়া আরও বলেন, ‘‘আমি একটি প্রশ্ন করতে চাই, ভারতীয় মহিলারা শেষ ১৩ বছর ধরে এই বিলের অপেক্ষা করছিলেন৷ এখন তাঁদের আরও কয়েকটি বছর অপেক্ষা করতে বলা হচ্ছে৷ আর কতবছর তাঁরা অপেক্ষা করবেন? ভারতীয় মহিলাদের সঙ্গে এই ব্যবহার কী সঠিক? আমরা তাই চাইছি, দ্রুত এই আইন কার্যকর করা হোক৷’’