কংগ্রেসের সভাপতি হওয়ার দৌড়ে সবথেকে এগিয়ে রয়েছেন অশোক গেহলট৷ তিনি দলের সভাপতি হলে তাঁর জায়গায় রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী করা হতে পারে সচিন পাইলটকে৷ দলের এই ইচ্ছের কথা জানার পরই বিদ্রোহ করে বসেন গেহলট অনুগামী বিধায়করা৷ পাইলটের মুখ্যমন্ত্রী হওয়া আটকাতে ৯২ জন গেহলট অনুগামী নেতা রাজস্থান বিধানসভার অধ্যক্ষের কাছে ইস্তফাপত্র জমা দিয়েছেন৷ যদিও বিধায়করা আবেগের বশবর্তী হয়ে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, এই যুক্তি দেখিয়ে অভিযোগপত্র গ্রহণ করেননি স্পিকার৷
advertisement
আরও পড়ুন: শশী থারুরের পক্ষে বিজেপি-সহ পাঁচ দল! গণস্বাক্ষর করে চিঠি পৌঁছল স্পিকারের কাছে
২০০ আসন বিশিষ্ট রাজস্থান বিধানসভায় কংগ্রেসের বিধায়ক সংখ্যা ১০৮৷ ফলে ৯২ জন বিধায়ক ইস্তফা দিলে সরকারের পতন অনিবার্য৷ সুযোগ বুঝেই রাজস্থানে রাষ্ট্রপতি জারি করার পক্ষে সওয়াল করেছে বিজেপি৷
বিদ্রোহ প্রকাশ্যে আসতেই অজয় মাকেন এবং মল্লিকার্জুন খার্গেকে বিদ্রোহী বিধায়কদের প্রত্যেকের সঙ্গে আলাদা আলাদা করে কথা বলার নির্দেশ দিয়েছেন সনিয়া গান্ধি৷ সূত্রের খবর, প্রাথমিক ভাবে বিদ্রোহীদের নিরস্ত করে বলা হয়েছে, আগামী ১৯ অক্টোবর পর্যন্ত রাজস্থানে কংগ্রেসের পরিষদীয় দলের বৈঠক ডাকা হবে না৷ সেই বৈঠকেই দলের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রীর নাম আনুষ্ঠানিক ভাবে ঠিক হওয়ার কথা৷
কিন্তু এই বিদ্রোহের পিছনে যিনি কলকাঠি নাড়ছেন বলে অভিযোগ, রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট এ বিষয়ে এখনও মুখ খোলেননি৷ যদিও দলের আর এক শীর্ষ নেতা কে সি বেণুগোপালকে তিনি ফোনে জানিয়েছেন, তাঁর হাতে কিছুই নেই, সূত্রের খবর এমনই৷
গেহলট অনুগামীদের বক্তব্য, তিনি একই সঙ্গে কংগ্রেস সভাপতি এবং রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলাতে পারবেন৷ গেহলট এবং পাইলটের বিবাদ নতুন কিছু নয়৷ অতীতেও পাইলটের বিজেপি-তে যোগদান শেষ মুহূর্তে রুখেছিলেন রাহুল- প্রিয়াঙ্কারা৷ তখন তাঁকে ভবিষ্যতে মুখ্যমন্ত্রী করার আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল৷ কিন্তু গেহলট সভাপতি নির্বাচিত হলেও মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ার না পেলে সচিন পাইলট এবং তাঁর অনুগামীরাও বিদ্রোহের পথে হাঁটতে পারেন, সেই সম্ভাবনাও মাথায় রাখতে হচ্ছে কংগ্রেস হাইকম্যান্ডকে৷