সূত্রের খবর, রাজ্যে রেশনে দুর্নীতি এবং মূল্যবৃদ্ধি ঠেকাতে কেন্দ্রীয় সরকারের মাধ্যমে সরাসরি খাদ্যশস্য কিনে রেশনে মাধ্যমে বিতরণ ব্যবস্থা চালু করার কথা বলেন লকেট চট্টোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন - প্রিজন ভ্যানের নীচে শুয়ে চাকরিপ্রার্থীরা, ঝরল রক্ত! এক্সাইড মোড়ে ধুন্ধুমার
আরও পড়ুন: ২০২৪-এ কোন অঙ্কে বিজেপি-র হার দেখছেন মমতা? নিজেই ব্যাখ্যা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী
advertisement
রেশন ব্যবস্থায় বায়োমেট্রিক পদ্ধতি চালু করা হয়েছে। তবে সেই পদ্ধতি নিয়ে নানান অভিযোগ আসছে। এ দিনের বৈঠকে সেই হয়রানির প্রসঙ্গ তোলেন বিশ্বম্ভর বসু। তিনি বলেন, "অনেক ক্ষেত্রে গ্রাহকের আঙুলের ছাপ মিলছে না, অনেক সময় ওটিপি আসে না, সার্ভার বন্ধ থাকায় বহু গ্রাহক রেশন থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন সারা দেশে। আমরা আজ লকেট চট্টোপাধ্যায়কে আমরা প্রস্তাব দিয়েছি, যাতে সাধারণ মানুষ রেশন পরিষেবা থেকে বঞ্চিত না হন এবং তাঁদের হেনস্থা না হয়। আমাদের প্রস্তাব, আঙুলের ছাপ, বায়োমেট্রিকের পরিবর্তে আধার নম্বরের মাধ্যমে ই-প্রসেস করে রেশন দেওয়ার বিকল্প পদ্ধতি চালু হোক।"
তাঁর দাবি, এর ফলে সাধারণ মানুষের হয়রানি বন্ধ করা সম্ভব হবে। এ দিনের বৈঠকে রাজ্যের রেশন ব্যবস্থার প্রশংসা করেছেন বিশ্বম্ভর বসু। খাদ্য ও গণ বণ্টন মন্ত্রকের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ার পার্সন লকেট চট্টোপাধ্যায়কে তিনি সারা দেশে পশ্চিমবঙ্গ মডেলে সবার জন্য রেশন ব্যবস্থা চালু করার প্রস্তাব দেন। ফেয়ার প্রাইস শপ সংগঠনের এবং বিশ্বম্ভর বসু প্রশ্ন তোলেন প্লাস্টিকের ব্যাগে খাদ্যশস্য বিতরণ নিয়ে। তাঁর বক্তব্য, প্লাস্টিকের ব্যাগে সামগ্রী নিয়ে যাওয়ার সময় খাদ্যশস্য নষ্ট হয় তিনি লকেট চট্টোপাধ্যায়কে প্রস্তাব দিয়েছেন যাতে দ্রুত চটের ব্যাগে রেশন সামগ্রী দেওয়া হয়। বিশ্বম্ভর বসুর দাবি এর ফলে একদিকে খাদ্যশস্য নষ্ট হওয়া বন্ধ করা যাবে, অন্য দিকে পাট শিল্পকে বাঁচিয়ে তোলা সম্ভব হবে।
RAJIB CHAKRABORTY