আরও পড়ুন- ফারুখাবাদের নাম বদলে হোক পাঞ্চালনগর, যোগীকে চিঠিতে নামবদলের আর্জি বিজেপি সাংসদের
“এখন মেয়েরা প্রতিটি পরিবারের জন্য বড় সম্পদ এবং শক্তি হয়ে উঠেছে। এই পরিবর্তন যত বেশি হবে, ততই মঙ্গল,” বলেন নরেন্দ্র মোদি।
একটা সময় ছিল যখন অনেক বাবা মা’ই বিশ্বাস করতেন যে তাদের সীমিত সম্পদ পরিবারের ছেলেদের জন্যই ব্যয় করা দরকার। যাতে ছেলেরা পরে তাদের যত্ন নিতে পারে। মেয়েরা অর্থনৈতিকভাবে ততটা বিশাল কাজ করবে না এবং শ্বশুর বাড়িই তাঁদের আসল বাড়ি এই ধরনের ধ্যানধারণা ছিল অনেকেরই। এই ধরনের মানসিকতা এখনও রয়েছে। তবে পালটা উদাহরণও বাড়ছে দ্রুত।
advertisement
“সমাজে ছেলে মেয়ের সমান মর্যাদা থাকতে হবে। এটা এই যুগের প্রয়োজনীয়তা, প্রতিটি যুগের প্রয়োজনীয়তা,” অহল্যা বাই এবং লক্ষ্মী বাইয়ের মতো মহিলাদের ব্যক্তিত্বের উল্লেখ করে বলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি আরও জানান, মেয়েরা খেলাধুলো থেকে শুরু করে বিজ্ঞান, বিভিন্ন ক্ষেত্রে দক্ষতা অর্জন করছে। এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি নারী সাংসদ রয়েছেন এবং পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনীতেও মহিলাদের সংখ্যা বাড়ছে। মেয়েরা বারবারই বোর্ড পরীক্ষায় ছেলেদের ছাপিয়ে যাচ্ছে, জানান মোদি (Pariksha Pe Charcha)।
আরও পড়ুন- বিশাল প্রদীপ হাতে ঋষিকেশে গঙ্গা আরতিতে মগ্ন অমিতাভ বচ্চন, ভাইরাল হল পুজোর ছবি!
গুজরাটে নির্বাচিত পঞ্চায়েত পদের অর্ধেকটাই মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত হলেও মেয়েদের ক্ষমতার উপর সমাজের আস্থাকে স্থাপন করতে পারায় তারা সাধারণ আসনেও জিতেছে, জানান মোদি 9Pariksha Pe Charcha)। প্রধানমন্ত্রী মোদি নার্সিং এবং শিক্ষাদানের ক্ষেত্রে বিপুল সংখ্যক মহিলাদের অংশগ্রহণের উল্লেখও করেন।
মোদি (Prime Minister Narendra Modi) বলেন, “যদি ছেলে ও মেয়েদের সমান সুযোগ দেওয়া হয়, তাহলে মেয়েরা আরও ভালো উন্নতি করতে পারে।” প্রধানমন্ত্রী জানান, তিনি বহু মেয়েদের দেখেছেন যারা বাবা মায়ের যত্ন নিতে পারার জন্য বিয়েই করেননি এবং এমনও ঘটনা রয়েছে যেখানে পিতামাতাকে বৃদ্ধাশ্রমে রেখে ছেলেরা দূরে সুখে জীবনযাপন করছে।